ভগবান বরাহ, বিষ্ণু জীর তৃতীয় অবতার, পৃথিবী ও ধর্মকে রক্ষার জন্য গৃহীত হয়েছিলেন। এই অবতারে ভগবানের মুখ শূকরের এবং শরীর মানুষের। পুরাণ অনুসারে, ভগবান বরাহ হিরণ্যাক্ষ নামক রাক্ষসকে পরাস্ত করে পৃথিবীকে সমুদ্র থেকে উপরে তুলেছিলেন। বরাহ জয়ন্তী ২৫শে আগস্ট ২০২৫ তারিখে পালিত হবে, এবং এই দিনে তাঁর পূজা করলে সুখ-সমৃদ্ধি, সুরক্ষা এবং কল্যাণ লাভ হয়।
Varaha Avatar 2025: ভগবান বরাহ, বিষ্ণু জীর তৃতীয় অবতার, ২৫শে আগস্ট ২০২৫ তারিখে ভাদ্রপদ শুক্ল তৃতীয়াতে পালিত হতে চলা বরাহ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে স্মরণে আসেন। এই দিনে তাঁর পূজা করলে জীবনে সুরক্ষা, সমৃদ্ধি এবং কল্যাণ লাভ হয় বলে মনে করা হয়। পুরাণ অনুসারে, ভগবান বরাহ হিরণ্যাক্ষ নামক রাক্ষসের হাত থেকে পৃথিবীকে বাঁচিয়েছিলেন এবং ধর্মের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই উৎসব বিশেষভাবে ভগবানের অনন্য রূপ এবং তাঁর ন্যায়পরায়ণ অবতারের গুরুত্বকে তুলে ধরে।
বিষ্ণু জীর এক অনন্য ও তেজস্বী অবতার
ভগবান বরাহকে ভগবান বিষ্ণুর তৃতীয় অবতার মানা হয়। যখনই পৃথিবীতে অধর্মের প্রাবল্য হয়েছে, শ্রী হরি পৃথিবী ও ধর্মকে রক্ষা করার জন্য অবতার নিয়েছেন। বিষ্ণু জীর ২৪টি অবতারের মধ্যে বরাহ অবতারের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পৃথিবীকে বাঁচানো এবং ধর্মের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। এই অবতারে ভগবানের রূপ অনন্য – শূকরের মাথা এবং মানুষের শরীর। তাঁর পূজা করলে জীবনে কল্যাণ, সুরক্ষা এবং সমৃদ্ধি লাভ হয়। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া এবং ধর্মীয় আলোচনায় বরাহ ভগবান এবং তাঁর পূজনের গুরুত্ব দ্রুত আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
কেন বরাহ ভগবান এখন আলোচনার কেন্দ্রে?
ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে প্রতি বছর বরাহ জয়ন্তী পালিত হয়। এই বছর এই উৎসব ২৫শে আগস্ট ২০২৫ তারিখে পড়েছে। পূজার শুভ মুহুর্ত দুপুর ১:৪০ থেকে বিকেল ৪:১৫ পর্যন্ত। পুরাণ অনুসারে, এই দিনেই ভগবান বিষ্ণু বরাহ অবতার গ্রহণ করে হিরণ্যাক্ষ নামক দৈত্যকে বধ করেছিলেন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে বিধি-पूर्वक বরাহ ভগবানের পূজা করলে জীবনে সুরক্ষা, সমৃদ্ধি এবং কল্যাণ লাভ হয়।
ভগবান বরাহের স্বরূপ ও মাহাত্ম্য
ভগবান বরাহের মুখ শূকরের এবং শরীর মানুষের হয়ে থাকে। তাঁর লম্বা ও উজ্জ্বল দাঁতের মধ্যে পৃথিবীকে সমুদ্র থেকে উপরে তোলার শক্তি আছে বলে মনে করা হয়। তিনি সাধারণত তলোয়ার বা বল্লমের মতো অস্ত্র ধারণ করেন, যা তাঁর যোদ্ধা রূপকে প্রকাশ করে। বরাহ জয়ন্তীর দিনে তাঁর পূজা করলে শত্রুর থেকে সুরক্ষা, সুখ-সমৃদ্ধি এবং পরিবারে কল্যাণ হয় বলে মনে করা হয়।
বরাহ অবতারের পৌরাণিক কাহিনী
কথা অনুসারে, হিরণ্যাক্ষ নামক এক রাক্ষস পৃথিবী অপহরণ করে তাকে পাতাল লোকে নিয়ে যায়। সংকটে ভগবান বিষ্ণু বরাহ অবতারে আবির্ভূত হন। সকল দেবতা এবং ঋষি-মুনিরা তাঁর স্তুতি করেন এবং পৃথিবীকে মুক্ত করার জন্য অনুরোধ করেন। ভগবান বরাহ সমুদ্রে গিয়ে নিজের দাঁতের উপরে পৃথিবীকে তোলেন এবং তাকে বাইরে বার করেন। হিরণ্যাক্ষ তাঁকে যুদ্ধের জন্য আহ্বান জানায়, যাতে অবশেষে রাক্ষসের বিনাশ হয়। এরপর ভগবান বরাহ নিজের খুর দিয়ে জলকে স্তম্ভিত করে পৃথিবীকে স্থিরভাবে স্থাপন করেন। এইভাবে বরাহ অবতার অধর্মের বিনাশ করে সংসারে ধর্ম ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেন।