দিওয়ালি ২০২৫: তারিখ, শুভ মুহূর্ত ও পূজার নিয়মাবলী

দিওয়ালি ২০২৫: তারিখ, শুভ মুহূর্ত ও পূজার নিয়মাবলী

দিওয়ালি ২০২৫ ভারতে ২০ অক্টোবর পালিত হবে। এই দিন কার্তিক অমাবস্যা তিথি এবং সন্ধ্যা ০৭:০৮ থেকে ০৮:১৮ পর্যন্ত লক্ষ্মী পূজার শুভ মুহূর্ত। দিওয়ালির পাঁচ দিনের উৎসবে ধনতেরাস, নরক চতুর্দশী, দিওয়ালি, গোবর্ধন পূজা এবং ভাইফোঁটা অন্তর্ভুক্ত। এই দিনে ঘরবাড়ি পরিষ্কার করা এবং প্রদীপ জ্বালানো বিশেষভাবে শুভ বলে মনে করা হয়।

দিওয়ালি ২০২৫ এর উৎসব ২০ অক্টোবর কার্তিক অমাবস্যায় পালিত হবে। এই দিনে সন্ধ্যা ০৭:০৮ থেকে ০৮:১৮ পর্যন্ত লক্ষ্মী পূজার শুভ মুহূর্ত। পাঁচ দিনের এই উৎসব ধনতেরাস থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত চলবে, যার মধ্যে নরক চতুর্দশী, দিওয়ালি, কার্তিক অমাবস্যা এবং গোবর্ধন পূজা অন্তর্ভুক্ত। এই দিনে ঘরবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং প্রদীপ দিয়ে সাজানো শুভ বলে মনে করা হয়, যাতে লক্ষ্মী মায়ের আগমন ঘটে এবং সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে।

দীপাবলির অর্থ ও ঐতিহ্য

বলা হয় যে এই দিনে ভগবান শ্রীরাম ১৪ বছরের বনবাস শেষ করে অযোধ্যায় ফিরে এসেছিলেন। তাঁর প্রত্যাবর্তনের আনন্দে অযোধ্যাবাসীরা প্রদীপ জ্বালিয়ে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিল। সেই ঐতিহ্য আজও দীপাবলি রূপে পালিত হয়। দীপাবলি শব্দের অর্থই হল দীপের সারি। এই উৎসব অন্ধকারকে আলো দিয়ে জয় করার প্রতীক। ঘর এবং আঙিনা প্রদীপ দিয়ে সাজানোর ঐতিহ্যও এখান থেকেই এসেছে।

দিওয়ালি ২০২৫-এর পঞ্জিকা ও মুহূর্ত

২০২৫ সালে কার্তিক অমাবস্যা তিথি ২০ অক্টোবর দুপুর ০৩:৪৪ মিনিটে শুরু হবে এবং ২১ অক্টোবর সন্ধ্যা ০৫:৫৪ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। এই দিনে লক্ষ্মী পূজার মুহূর্ত রাত ০৭:০৮ মিনিট থেকে রাত ০৮:১৮ মিনিট পর্যন্ত। প্রদোষ কাল সন্ধ্যা ০৫:৪৬ মিনিট থেকে রাত ০৮:১৮ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। বৃষভ কাল রাত ০৭:০৮ মিনিট থেকে রাত ০৯:০৩ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। নিশীথ কালের মুহূর্ত রাত ১১:৪১ মিনিট থেকে পরের দিন সকাল ১২:৩১ মিনিট পর্যন্ত থাকবে।

দিওয়ালি ২০২৫-এর পাঁচ দিনের ক্যালেন্ডার

দিওয়ালির উৎসব পাঁচ দিন ধরে চলে। এই পর্ব ধনতেরাস থেকে শুরু করে ভাইফোঁটা পর্যন্ত পালিত হয়। ২০২৫ সালে দিওয়ালির পাঁচ দিনের ক্রমটি এই প্রকার হবে।

  • ধনতেরাস ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • নরক চতুর্দশী ১৮ অক্টোবর ২০২৫
  • দিওয়ালি ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • কার্তিক অমাবস্যা ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • গোবর্ধন পূজা ২২ অক্টোবর ২০২৫

দিওয়ালির দিনে করণীয় কিছু শুভ কাজ

এই দিনে ঘর ও দোকান সাজানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। অনেকে গাঁদা ফুলের মালা এবং অশোক, আম ও কলার পাতা দিয়ে ঘর সাজান। ঘরের প্রধান দরজায় কলস স্থাপন করা শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিনে ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা বিশেষ গুরুত্ব রাখে। বলা হয় যে লক্ষ্মী মা কেবল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ঘরেই প্রবেশ করেন।

লক্ষ্মী পূজার পদ্ধতি

লক্ষ্মী পূজার জন্য পূজার চৌকিতে লাল কাপড় বিছানো হয়। তার উপরে শ্রী গণেশ এবং দেবী লক্ষ্মীর মূর্তি সুন্দর রেশমি বস্ত্র ও অলঙ্কার দিয়ে সাজানো হয়। এর পরে মন্ত্র উচ্চারণ করে পূজা করা হয়। সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালানোর ঐতিহ্য অনুসারে ঘর ও আঙিনায় প্রদীপ লাগানো হয়। এই শুভ কাজটি অন্ধকার দূর করতে এবং ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আনার জন্য করা হয়।

দীপাবলির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য

দীপাবলি কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব নয়। এটি পরিবার এবং সমাজে মেলামেশা বাড়ানোরও একটি সুযোগ। এই দিনে মানুষ তাদের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের সাথে দেখা করে, উপহার দেয় এবং ঘর সাজানোর মাধ্যমে সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করে। শিশুদের জন্য এই পর্বটি বিশেষভাবে আকর্ষণীয়, কারণ এই সময় আতশবাজি পোড়ানো এবং মিষ্টি খাওয়ার ঐতিহ্য রয়েছে।

Leave a comment