বিকশিত উত্তরপ্রদেশের রোডম্যাপ: যোগীর দরবারে জমা পড়ল ৫৩ লক্ষ পরামর্শ

বিকশিত উত্তরপ্রদেশের রোডম্যাপ: যোগীর দরবারে জমা পড়ল ৫৩ লক্ষ পরামর্শ

যোগীর নেতৃত্বে বিকশিত উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্য: লখনউ প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে চলছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের অন্যতম বড় প্রকল্প—‘সমর্থ উত্তরপ্রদেশ, বিকশিত উত্তরপ্রদেশ ২০৪৭’। রাজ্যকে আগামী দুই দশকের মধ্যে উন্নয়নের শীর্ষে পৌঁছে দেওয়ার এই অভিযানে নাগরিকদের মতামত নেওয়া হচ্ছে সরাসরি। উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ৫৩ লক্ষেরও বেশি পরামর্শপত্র জমা পড়েছে প্রশাসনের কাছে।

গ্রামীণ উত্তরপ্রদেশের সাড়া সর্বাধিক

এই ৫৩ লক্ষ পরামর্শের মধ্যে ৪১.৫ লক্ষ পরামর্শ এসেছে গ্রামীণ অঞ্চল থেকে, যা রাজ্যের অধিকাংশ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণকে ইঙ্গিত করে। শহর এলাকার মানুষ পাঠিয়েছেন প্রায় ১১.৫ লক্ষ পরামর্শপত্র। এটি প্রমাণ করছে যে, রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উৎসাহ শহুরে মানুষের চেয়েও বেশি।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে যুব সমাজের নেতৃত্ব

বয়সভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ৩১ বছর বা তার কম বয়সি নাগরিকদের কাছ থেকে এসেছে ২৬ লক্ষ প্রস্তাব। ৩১ থেকে ৬০ বছর বয়সি মানুষের পরামর্শের সংখ্যা ২৫ লক্ষ, আর ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকদের কাছ থেকে এসেছে ২.৫ লক্ষ মতামত। প্রশাসনের মতে, তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য আশাব্যঞ্জক।

শিক্ষা, কৃষি, শহর উন্নয়ন—সবক্ষেত্রে প্রস্তাবের বন্যা

বিভিন্ন ক্ষেত্রভিত্তিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, কৃষিক্ষেত্রে ১৩ লক্ষ পরামর্শ, শিক্ষাক্ষেত্রে ১২.৫ লক্ষ, এবং শহর উন্নয়ন নিয়ে ১০.৭৭ লক্ষ প্রস্তাব জমা পড়েছে। এর পাশাপাশি ডেয়ারি, তথ্য প্রযুক্তি, পর্যটন, গ্রামোন্নয়ন, স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণ ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত পরামর্শও এসেছে বিপুল সংখ্যায়।

আগামীর পরিকল্পনায় নাগরিক ভাবনা

প্রশাসন সূত্রে খবর, সব পরামর্শ বিশ্লেষণ করে ‘বিকশিত উত্তরপ্রদেশ ২০৪৭’-এর রোডম্যাপ তৈরি করা হবে। প্রতিটি খাত অনুযায়ী প্রস্তাবের ভিত্তিতে নতুন প্রকল্প ও নীতিনির্ধারণের পরিকল্পনা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কথায়, “উত্তরপ্রদেশের উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন প্রতিটি নাগরিক নিজের দায়িত্ব বুঝে উন্নয়নের অংশীদার হবে।

উন্নত উত্তরপ্রদেশ গড়ার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উদ্যোগে শুরু হয়েছে ‘সমর্থ উত্তরপ্রদেশ, বিকশিত উত্তরপ্রদেশ ২০৪৭’ কর্মসূচি। এই প্রকল্পে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জমা পড়েছে ৫৩ লক্ষেরও বেশি পরামর্শ। এর মধ্যে ৪১ লক্ষ পরামর্শ এসেছে গ্রামীণ এলাকা থেকে, যা রাজ্য উন্নয়নের ভবিষ্যৎ রূপরেখা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

Leave a comment