গ্রাম হোক বা শহর, অনেকেই আজকের ব্যস্ত জীবনে মানসিক চাপ ও অবসাদে ভুগছেন। এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলার জন্য জীবনধারায় পরিবর্তন এবং সুষম খাদ্যাভাস অপরিহার্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিটামিন C: একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, মেজাজ ঠিক রাখে এবং ক্লান্তি কমায়। সপ্তাহে নিয়মিত ভিটামিন C গ্রহণ করলে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ হ্রাস পেতে পারে। তবে এটি চিকিৎসার বিকল্প নয়, গুরুতর অবসাদ বা উদ্বেগ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ জরুরি।
মানসিক চাপ ও হরমোন নিয়ন্ত্রণ
ভিটামিন C অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির সঠিক কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, যার ফলে মানসিক চাপ ও ক্লান্তি কমে। গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন C-এর নিয়মিত গ্রহণ মনকে শান্ত রাখে এবং অবসাদ হ্রাস করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাব
ভিটামিন C একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দূর করতে সাহায্য করে, যা মানসিক চাপ এবং বিষণ্নতার সঙ্গে সম্পর্কিত। নিয়মিত ভিটামিন C গ্রহণ মস্তিষ্ককে সুরক্ষা দেয় এবং মনকে স্থিতিশীল রাখে।
মেজাজ ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি
ভিটামিন C নিউরোট্রান্সমিটারের উৎপাদনে সহায়তা করে, যা মেজাজ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ। এর অভাব হলে ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং অবসাদ দেখা দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, সাপ্লিমেন্টেশনের মাধ্যমে উদ্বেগ ও ক্লান্তি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো যায়।
সঠিক মাত্রা ও পরামর্শ
ভিটামিন C একটি সম্পূরক মাত্র, এটি গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসা নয়। রোজ প্রায় ৫০০ মিলিগ্রাম গ্রহণ করা যেতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী অবসাদ বা উদ্বেগ থাকলে অবশ্যই ডাক্তার বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
দৈনন্দিন মানসিক চাপ এবং ক্লান্তি কমাতে ভিটামিন C অত্যন্ত কার্যকর। এটি স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাব এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিয়মিত সাপ্লিমেন্টেশনের মাধ্যমে অবসাদ ও উদ্বেগ কমানো সম্ভব, তবে গুরুতর সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।