শীত আসছে, ঠোঁটের আগাম যত্ন শুরু করুন : শীত এখনও পুরোপুরি ঢোকে নি, কিন্তু ঠোঁটে টান পড়া, শুষ্কতা, এমনকি রক্ত বেরনোর সমস্যা অনেকেরই শুরু হয়ে গিয়েছে। যতই পেট্রোলিয়াম জেল লাগান না কেন, শীতের শুষ্ক হাওয়া ঠোঁটের আর্দ্রতা টেনে নেয়। তাই এখন থেকেই যদি কিছু সহজ নিয়ম মেনে চলা যায়, তাহলে এই মরশুমে ঠোঁট থাকবে নরম, মসৃণ ও উজ্জ্বল।

পর্যাপ্ত জল পান: ভিতর থেকে হাইড্রেশন জরুরি
ঠোঁটের আর্দ্রতা শুধু বাইরের যত্নে আসে না, শরীরের ভিতরের জলের ভারসাম্যের উপরও নির্ভর করে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন। শরীর হাইড্রেটেড থাকলে ঠোঁটও স্বাভাবিকভাবে নরম ও ময়েশ্চারাইজ়ড থাকবে।
সঠিক লিপ বাম বেছে নিন
শুধু পেট্রোলিয়াম জেল নয়, এমন লিপ বাম ব্যবহার করুন যাতে শিয়া বাটার, নারকেল তেল বা ভিটামিন ই থাকে। এগুলি ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং ঠোঁটের কোষ পুনরুজ্জীবিত করে।আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—লিপ বামে যেন SPF যুক্ত সান প্রোটেকশন থাকে। এতে সূর্যের রশ্মিতে ঠোঁটের কালচে দাগ পড়বে না এবং ঠোঁট থাকবে সুরক্ষিত।
ঠোঁট স্ক্রাব করুন সপ্তাহে একদিন
অনেকেই ঠোঁটের মৃত কোষের স্তর পরিষ্কার করেন না, ফলে ঠোঁট হয়ে যায় রুক্ষ ও ফাটা। সপ্তাহে একবার চিনি বা কফির গুঁড়ো ও মধু মিশিয়ে স্ক্রাব করুন। এতে মৃত কোষ দূর হবে এবং ঠোঁট নরম, কোমল ও রক্তিম আভাযুক্ত হবে।

জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো বন্ধ করুন
শীতকালে ঠোঁট শুকোলে অনেকেরই জিভ বোলানোর অভ্যাস থাকে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লালায় থাকা এনজাইম ঠোঁটকে আরও শুষ্ক করে তোলে। তাই ঠোঁট শুকিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে লিপ বাম বা ঘি ব্যবহার করুন, জিভ নয়।
বাড়িতেই তৈরি করুন প্রাকৃতিক ঠোঁটের যত্নের উপাদান
ঘরোয়া উপায়ে ঠোঁট ফাটা কমাতে পারেন। সামান্য মধু, ঘি ও অ্যালোভেরা জেল একসঙ্গে মিশিয়ে প্রতিরাতে শোওয়ার আগে ঠোঁটে লাগান। এতে ঠোঁটের ফাটা জায়গা সারবে এবং ঠোঁটের রঙও উজ্জ্বল হবে।

ঠোঁটের যত্ন নেওয়া মানে শুধু সৌন্দর্য নয়, এটি স্বাস্থ্যগত বিষয়ও বটে। নিয়মিত জল পান, সঠিক লিপ বাম, সাপ্তাহিক স্ক্রাব ও জিভ বোলানোর অভ্যাস বন্ধ করলেই শীতের শুষ্কতাও ঠোঁটে প্রভাব ফেলতে পারবে না।













