শীতকাল দরজায় কড়া নাড়ছে আর ত্বক হয়ে উঠছে রুক্ষ ও শুষ্ক। শুধু ক্রিম বা লোশন যথেষ্ট নয়। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার অন্তর্ভুক্ত করলে ত্বক ভেতর থেকে হাইড্রেটেড থাকবে। ওমেগা-৩, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবারগুলো শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ও সতেজ রাখতেও সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত জল পান
ত্বককে হাইড্রেটেড রাখার সবচেয়ে সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল জল। শীতকালে অনেকেই কম জল পান করেন, যা শুষ্কতার কারণ। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস জল, ডাবের জল, হার্বাল চা বা স্যুপ খেতে পারেন।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার
ওমেগা-৩ ত্বকের কোষের প্রাচীর মজবুত করে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে। স্যামন, সার্ডিন, ম্যাকেরেল মাছ, আখরোট, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড ও আমন্ডে ওমেগা-৩ এবং ভিটামিন-ই আছে। সকালে একমুঠো বাদাম বা চিয়া সিড ভেজানো জল খাওয়া খুব উপকারী।
ভিটামিন-সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত ফল
ভিটামিন-সি কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখে। লেবুজাতীয় ফল (কমলালেবু, পাতিলেবু), বেরি জাতীয় ফল (ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, রাস্পবেরি) এবং টমেটোতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সূর্যের ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
ভিটামিন-এ ও বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার
ভিটামিন-এ ও বিটা-ক্যারোটিন ত্বকের কোষ মেরামত এবং নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে। মিষ্টি আলু, গাজর এবং পেঁপে এই উপাদানে সমৃদ্ধ।
সবুজ শাকসবজি
পালং শাক, কেল, ব্রকোলি প্রভৃতি গাঢ় সবুজ শাক ভিটামিন-এ, সি, ই এবং আয়রনে সমৃদ্ধ। এটি ত্বককে আর্দ্রতা যোগ করতে ও স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
দই
প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ টক দই হজম ক্ষমতা উন্নত করে, যার ইতিবাচক প্রভাব ত্বকের উপর পড়ে। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং ব্রণ সমস্যা কমাতেও কার্যকর।
অ্যাভোক্যাডো
অ্যাভোক্যাডোতে স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন-ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটি ক্ষতিগ্রস্ত কোষ পুনরুজ্জীবিত করতে এবং ত্বকের র্যাশ কমাতে সহায়ক।
চূড়ান্ত পরামর্শ
শুধু বাইরের ক্রিম নয়, এই খাবারগুলো নিয়মিত ডায়েটে রাখলে শীতকালে ত্বক থাকবে হাইড্রেটেড, কোমল ও প্রাণবন্ত। তবে ডায়েট পরিবর্তনের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
শীতকালে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যেতে পারে। শুধু বাইরে থেকে ময়েশ্চারাইজার দেওয়াই যথেষ্ট নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্বককে ভেতর থেকে আর্দ্র ও সতেজ রাখতে ডায়েটে কিছু বিশেষ খাবার রাখা জরুরি।