ভারতীয় ক্রিকেটার যশ দয়াল তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া যৌন হয়রানির মামলা নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে একটি আবেদন পেশ করেছেন। তিনি এই আবেদনটি গাজিয়াবাদের ইন্দিরাপুরম থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS)-র ধারা ৬৯-এর অধীনে দায়ের হওয়া FIR বাতিলের জন্য করেছেন।
খেলাধুলার খবর: ভারতীয় ক্রিকেটার যশ দয়াল তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া যৌন হয়রানির মামলা নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। তিনি ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS)-র ধারা ৬৯-এর অধীনে দায়ের হওয়া FIR বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন। বিষয়টি এখন আইনিভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং আদালত এই মামলার শুনানি করলে দেশজুড়ে সকলের নজর সেদিকেই থাকবে।
পুরো ঘটনাটি কী?
৬ই জুলাই, ২০২৫ তারিখে গাজিয়াবাদের ইন্দিরাপুরম থানা এলাকায় একজন মহিলার তরফে ক্রিকেটার যশ দয়ালের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে FIR দায়ের করা হয়েছিল। FIR-টি BNS-এর ধারা ৬৯-এর অধীনে নথিভুক্ত করা হয়েছে, যা যৌন হয়রানির মতো অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তি এবং কঠোর আইনি ব্যবস্থার বিধান দেয়।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তা মিডিয়ার শিরোনামে আসে এবং এখন যশ দয়াল তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে মিথ্যা দাবি করে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন।
হাইকোর্টে কী আবেদন করা হয়েছে?
যশ দয়াল তাঁর আবেদনে উত্তরপ্রদেশ সরকার, ইন্দিরাপুরম থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং অভিযোগকারী মহিলাকে প্রতিপক্ষ করেছেন। তিনি FIR-টিকে পূর্বপরিকল্পিত এবং বিদ্বেষপূর্ণ বলে অভিহিত করে তা বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন। সূত্রানুসারে, খুব শীঘ্রই এই আবেদনের শুনানি একটি ডিভিশন বেঞ্চে হতে পারে। যদি আদালত যশ দয়ালের পক্ষে কোনো অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেয়, তবে তা তাঁর ভাবমূর্তি এবং কর্মজীবনের জন্য বড় স্বস্তি হতে পারে।
বিবাদের মধ্যে যশ দয়ালও প্রয়াগরাজের খুলদাবাদ থানায় মহিলার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর তরফে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, যেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন যে মহিলা তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে টাকা দাবি করছেন এবং মানসিক নির্যাতন করছেন। তিনি তাঁর অভিযোগে আরও বলেছেন যে মহিলা তাঁকে বদনাম করার এবং কর্মজীবন নষ্ট করার হুমকি দিয়েছেন। যশ দয়াল প্রয়াগরাজ পুলিশের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন।
BNS-এর ধারা ৬৯ কী?
উল্লেখযোগ্য যে, সম্প্রতি চালু হওয়া ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS)-তে ধারা ৬৯-কে যৌন অপরাধ সম্পর্কিত মামলার জন্য রাখা হয়েছে। এই ধারা যৌন হয়রানির মামলাগুলিতে কঠোর শাস্তি, যেমন কারাদণ্ড, জামিনের কঠিন শর্ত এবং সমাজে কলঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করে। আইনি বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি আদালত FIR-কে সঠিক মনে করে, তাহলে যশ দয়ালকে গ্রেপ্তার অথবা দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হতে পারে। অন্যদিকে, যদি FIR-কে ভুল এবং বিদ্বেষপূর্ণ প্রমাণ করা যায়, তাহলে অভিযোগকারী মহিলার বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব।