ছাঙ্গুর বাবার ১০০ কোটির সম্পত্তি: ইডির তদন্ত শুরু

ছাঙ্গুর বাবার ১০০ কোটির সম্পত্তি: ইডির তদন্ত শুরু

ইডি ছাঙ্গুর বাবার ১০০ কোটির সম্পত্তির তদন্ত শুরু করেছে। জাল অ্যাকাউন্ট, আরব দেশ থেকে আসা টাকা এবং সম্পত্তি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

ইডি-র পদক্ষেপ: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) স্বঘোষিত বাবা, জালালউদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুর বাবা এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে কোমর বাঁধতে শুরু করেছে। তদন্তকারী সংস্থাটি বাবার ১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তির তদন্ত করছে। জানা যাচ্ছে, এই সম্পত্তি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সংস্থা এবং জমির আকারে সামনে এসেছে।

জাল দলিলের মাধ্যমে খোলা ৪০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট

ইডি-র প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ছাঙ্গুর বাবা জাল দলিলের মাধ্যমে মোট ৪০টি সংস্থা তৈরি করেছিলেন। এই সংস্থাগুলির নামেই ৪০টি ভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। বিশেষ বিষয় হল, এই অ্যাকাউন্টগুলির মধ্যে ছয়টি বিদেশি ব্যাংকে রয়েছে, যেগুলির তদন্ত এখন দ্রুত গতিতে চলছে। এই অ্যাকাউন্টগুলি हवाला এবং মানি লন্ডারিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরব দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা হস্তান্তর

সূত্র মারফত খবর, ছাঙ্গুর বাবার এই অ্যাকাউন্টগুলিতে আরব দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাঠানো হয়েছিল। এই টাকার ব্যবহার উত্তর প্রদেশ, নাগপুর এবং পুনের মতো শহরগুলিতে জমি কেনার জন্য করা হয়েছিল। এই জমিগুলি বাবা এবং তাঁর সহযোগীদের নামে নথিভুক্ত রয়েছে। এখন ইডি জানার চেষ্টা করছে, এই টাকা কোথা থেকে এসেছে, কোন উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল এবং জমি কেনাবেচায় কী কী দলিল ব্যবহার করা হয়েছে।

দামি পশুও তদন্তের আওতায়

ইডি-র তদন্তে আরও জানা গেছে, ছাঙ্গুর বাবা লক্ষাধিক টাকা খরচ করে বিদেশি জাতের ঘোড়া এবং কুকুর পুষতেন। এই পশুগুলির কেনাকাটাও সন্দেহজনক তহবিল থেকে করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। এখন এই খরচও তদন্তকারী সংস্থার নজরে এসেছে এবং এটিকে মানি লন্ডারিংয়ের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইডি

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বর্তমানে ছাঙ্গুর বাবা এবং তাঁর নেটওয়ার্কের প্রতিটি কার্যকলাপের উপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। সংস্থাটি সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, জমি সংক্রান্ত চুক্তি এবং সংস্থাগুলির সাথে সম্পর্কিত নথি সংগ্রহ করছে। এর পরে, খুব শীঘ্রই এই সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে।

কে এই ছাঙ্গুর বাবা

ছাঙ্গুর বাবা ওরফে জালালউদ্দিন নিজেকে ধর্মীয় গুরু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি নিজেকে আধ্যাত্মিক শক্তির অধিকারী ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দিতেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক অনুসারী তৈরি করেছিলেন। তাঁর কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহজনক বলে জানা গেছে, তবে আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার পরে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি সক্রিয় হয়েছে।

Leave a comment