উদয়পুরে ডাবোক থানা এলাকার একটি খাদানে স্নান করতে গিয়ে চার শিশু ডুবে গেছে। মৃতদের বয়স ১২ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। পরিবার খনির মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে এবং মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার চেষ্টা করছে।
উদয়পুর: রাজস্থানের উদয়পুর জেলায় রবিবার একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা পুরো এলাকাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। ডাবোক থানা এলাকার একটি খাদানে স্নান করতে গিয়ে চার নাবালক শিশু ডুবে মারা গেছে। মৃত শিশুদের পরিচয় লক্ষ্মী গামেতি (১৪), ভাবেশ (১৪), রাহুল (১২) এবং শংকর (১৩) হিসাবে জানা গেছে। দুর্ঘটনার পর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং পরিবার খনির মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শিশুরা কাছের মাঠে ছাগল চড়াতে গিয়েছিল। সেই সময় তারা খাদানে স্নান করার সিদ্ধান্ত নেয়। খাদানের জল বেশ গভীর ছিল, এবং শিশুরা নামার পরেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা পুরো এলাকায় শোকের আবহ তৈরি করেছে।
গ্রামবাসীদের সহায়তায় শিশুদের মৃতদেহ উদ্ধার
ঘটনার খবর পেয়ে আশেপাশের বহু গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে পৌঁছন এবং দ্রুত পুলিশকে খবর দেন। ডাবোক থানার একটি দল ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় লোকেদের সহায়তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে শিশুদের মৃতদেহ খনি থেকে উদ্ধার করে।
গ্রামবাসীরা জানান, শিশুরা ডুবে যাওয়ার পর গ্রামে কান্নার রোল পড়ে যায়। মৃতদেহ দেখে পরিবারের লোকজন ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেন। গ্রামবাসীরা খনির মালিকের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকার জন্য তাঁদের দায়ী করেন।
পরিবারের মৃতদেহ নিতে অস্বীকার
শিশুদের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর পরিবারের লোকজন খনির মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। তাঁরা পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেন, এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে যেন দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ক্ষুব্ধ পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহ নিতেও অস্বীকার করেন, যার ফলে ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হয়। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা গভীর রাত পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, দুর্ঘটনায় খনির মালিকের গাফিলতি স্পষ্ট এবং এ ধরনের ঘটনা রুখতে কঠোর নিয়ম চালু করা উচিত।
পুলিশের তদন্ত শুরু
ডাবোক থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক মনোহর সিং দেওড়া জানান, “শিশুরা গভীর জলে ডুবে গিয়েছিল। এই ঘটনার তদন্ত চলছে এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা নিশ্চিত করব যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।”
পুলিশ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে এবং খনির মালিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও, স্থানীয় প্রশাসন খনিগুলির নিরাপত্তা ও গভীরতার ওপর বিশেষ নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে।