নেপালি ছাত্র বিপিন জোশী হামাসের হেফাজতে নিহত হয়েছেন। তাঁর সাহসিকতা অনেক ছাত্রের প্রাণ বাঁচিয়েছে। মৃতদেহ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনা জিম্মিদের নিরাপত্তা এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।
Bipin Joshi Death: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে শান্তি আলোচনা (peace talks) চলছে। এই আলোচনার সময় হামাস ইসরায়েলের ২০ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে, কিন্তু নেপালি হিন্দু ছাত্র বিপিন জোশী তাদের মধ্যে ছিলেন না। দুঃখজনকভাবে, হামাস বিপিনকে হত্যা করেছে। ইসরায়েলে নেপালের রাষ্ট্রদূত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং জানিয়েছেন যে বিপিনের মৃতদেহ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কে এই বিপিন জোশী
বিপিন জোশী নেপালের একটি ছোট গ্রাম থেকে এসেছিলেন এবং ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আরও ১৬ জন ছাত্রের সাথে ইসরায়েল গিয়েছিলেন। সবাই গাজা সীমান্তের কাছে কিবুতজ আলুমিয়ামে কৃষি অধ্যয়ন (agriculture studies) করতে পৌঁছেছিলেন। এই সময় হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায় এবং বিপিনকে জিম্মি করে। বিপিন এই দলের একমাত্র হিন্দু ছিলেন।
হামাসের হামলার সময় সাহসিকতা
২০২৫ সালের ৭ অক্টোবর যখন হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে বোমা হামলা শুরু করে, তখন সব ছাত্র বাঙ্কারে লুকিয়ে পড়ে। হামাসের যোদ্ধারা বাঙ্কারের মধ্যে ২টি গ্রেনেড ছুঁড়েছিল। প্রথমটি বিস্ফোরিত হয়ে অনেক ছাত্র আহত হয়। বিপিন সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে দ্বিতীয় গ্রেনেডটি তুলে বাইরে ছুঁড়ে দেন, যার ফলে অনেক ছাত্রের প্রাণ বাঁচে। এরপর তাকে জিম্মি করা হয় এবং গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা মৃতদেহ
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে বিপিনকে টেনে হিঁচড়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যায়। এরপর তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। হামাস মোট ৪ জন জিম্মির মৃতদেহ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে। নেপালি কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে বিপিনের মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে এবং তাঁর শেষকৃত্য ইসরায়েলেই সম্পন্ন হবে।