আমেরিকার শুল্ক সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাবে ভারত

আমেরিকার শুল্ক সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাবে ভারত
সর্বশেষ আপডেট: 1 দিন আগে

আমেরিকা ভারতের উপর ২৫% অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছে, কিন্তু মোদী সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে যে রাশিয়া থেকে তেল কেনা চলবে। তেল শোধনাগারগুলি সরবরাহ শৃঙ্খলের উপর নজর রাখছে এবং দেশের স্বার্থই প্রধান।

Trump Tariff: ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা বেড়েছে। মার্কিন প্রশাসন ভারতের উপর ২৫% অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছে। এই শুল্ক রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে চাপানো হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা এটিকে রাশিয়া থেকে তেল কেনার শর্তের সঙ্গে যুক্ত করে দেখছেন।

ভারতের স্পষ্ট বার্তা: দেশ আগে, ব্যবসা পরে

ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন যে সরকার মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে রাজি নয়। তেল শোধনাগার কোম্পানিগুলোকে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করার কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। কর্মকর্তারা স্পষ্ট করেছেন যে ভারতের অগ্রাধিকার জাতীয় স্বার্থ এবং জ্বালানি সুরক্ষা।

তেল কোম্পানিগুলির অবস্থান

ভারতীয় তেল শোধনাগার কোম্পানিগুলো জানিয়েছে যে তারা রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা চালিয়ে যাবে। সেপ্টেম্বরে অর্ডার কিছুটা কমলেও, তা মার্কিন শুল্কের কারণে নয়, বরং রাশিয়ার ছাড় কম দেওয়ার কারণে হয়েছে। গত বছর রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল ২.৫ ডলার থেকে ৩ ডলার প্রতি ব্যারেল সস্তা পাওয়া যাচ্ছিল, কিন্তু এখন এই ছাড় কমে ১.৫ ডলার থেকে ১.৭ ডলার প্রতি ব্যারেল হয়েছে।

অক্টোবরে অর্ডার বাড়ার সম্ভাবনা

কর্মকর্তারা মনে করছেন যে অক্টোবর থেকে অর্ডার আবার বাড়তে পারে। রাশিয়া আবারও তেলের উপর ছাড় বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মানে হল ভারতের কাছে অপরিশোধিত তেল পাওয়ার সম্ভাবনা বজায় থাকবে। তেল শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ভারত চাইলে অন্য দেশ থেকেও তেল কিনতে পারে, কিন্তু এমনটা করা আমেরিকার চাপের কাছে নতি স্বীকার করার শামিল হবে।

সরবরাহ শৃঙ্খলের উপর প্রভাব

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দিলে বিশ্ব বাজারে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। রাশিয়া তার তেল সরবরাহ অন্য দেশে করবে এবং ভারত অন্য উৎস থেকে তেল নেবে। শুধু সরবরাহ শৃঙ্খলে একটু পরিবর্তন আসবে। আপাতত ভারতীয় শোধনাগারগুলো পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং প্রধান লক্ষ্য হল পর্যাপ্ত এবং নিয়মিত তেল পাওয়া যায়।

তেল শিল্প এবং জাতীয় সুরক্ষা

সরকারের এই পদক্ষেপ স্পষ্ট করে যে ভারতের অগ্রাধিকার হল জ্বালানি সুরক্ষা এবং জাতীয় স্বার্থ। যদি কোনো সময় বিদেশি চাপের কারণে তেল কেনায় পরিবর্তন হয়, তবে তা শুধুমাত্র কৌশলগত কারণে হবে। কর্মকর্তারা বলছেন যে দেশের অর্থনৈতিক ও জ্বালানি সুরক্ষায় কোনো ঝুঁকি আসা উচিত নয়।

আমেরিকা ভারতের উপর শুল্ক চাপিয়েছে কারণ তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে গেছে। যদিও ভারতীয় কোম্পানিগুলোর জন্য এই শুল্ক ব্যয়বহুল হতে পারে, কিন্তু সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এই সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী হবে না। আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক আলোচনা এখনও চলছে।

ভারতীয় শোধনাগারগুলির প্রস্তুতি

ভারতীয় শোধনাগারগুলো বর্তমানে তেলের সরবরাহ এবং মজুতের পরিস্থিতির উপর लगातार নজর রাখছে। কোম্পানিগুলোর প্রধান উদ্দেশ্য হল यह सुनिश्चित करना कि तेल की कमी से उत्पादन या घरेलू जरूरतों पर असर न पड़े। এর জন্য তারা রাশিয়া এবং অন্যান্য উৎস থেকে তেল কেনার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখছে।

Leave a comment