আপ বিধায়কের জামিন খারিজ, হত্যা চেষ্টার মামলায় আইনি জটিলতা

আপ বিধায়কের জামিন খারিজ, হত্যা চেষ্টার মামলায় আইনি জটিলতা

আম আদমি পার্টির (আপ) বিধায়ক চৈতন্য ওসাওয়ার আইনি জটিলতা বেড়েছে। নর্মদা জেলার একটি আদালত হত্যা চেষ্টার মামলায় তাঁর নিয়মিত জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আদালত এই রায়ে বিধায়কের অপরাধমূলক ইতিহাস এবং সাক্ষীদের প্রভাবিত করার সম্ভাবনাকে ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেছে। উল্লেখ্য, ওসাওয়াকে ৫ জুলাই একটি বিতর্কিত ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

আদালত সাক্ষীদের প্রভাবিত করার সম্ভাবনাকে স্বীকার করেছে

অতিরিক্ত দায়রা বিচারক এ.ভি. হিরপারা ১৪ জুলাই শুনানির সময় বলেন যে, চৈতন্য ওসাওয়ার বিরুদ্ধে ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৮টি ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত রয়েছে। আদালত জানায়, অভিযোগপক্ষের পেশ করা তথ্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, ওসাওয়াকে জামিন দেওয়া হলে তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন, যা ন্যায়বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

আদালত আরও মনে করে যে, একটি অডিও-ভিডিও সামনে এসেছে, যেখানে ওসাওয়াকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, জামিন না পেলে তিনি সরকারি দপ্তর এবং জেলখানার ক্ষতি করবেন। আদালত এ বিষয়েও মন্তব্য করেছে যে, ওসাওয়া আগে দায়ের হওয়া মামলায় খালাস পাওয়ার দাবি করলেও, তিনি কোনো মামলার প্রমাণস্বরূপ নথি আদালতে পেশ করেননি।

গুরুতর ধারায় মামলা রুজু

চৈতন্য ওসাওয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) ১০৯ ধারায় হত্যা চেষ্টার মামলা রুজু হয়েছে। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে মহিলার সম্মানহানি (ধারা ৭৯), ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা (ধারা ১১৫(২)), অপরাধমূলক হুমকি (ধারা ৩৫১(৩)), ইচ্ছাকৃত অপমান (ধারা ৩৫২) এবং সম্পত্তির ক্ষতিসাধন (ধারা ৩২৪(৩))-এর মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই পুরো বিতর্কটি ডেডিয়াপাড়ায় একটি সরকারি বৈঠকের সময় সামনে আসে, যেখানে ওসাওয়া তাঁর এক সমর্থককে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত না করার কারণে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। এফআইআর অনুযায়ী, তিনি সাগবারা তালুকা পঞ্চায়েতের মহিলা সভাপতির প্রতি অশ্রাব্য মন্তব্য করেন এবং যখন ডেডিয়াপাড়া পঞ্চায়েত সভাপতি সঞ্জয় ওসাওয়া প্রতিবাদ করেন, তখন বিধায়ক कथितভাবে তাঁর দিকে মোবাইল ছুঁড়ে মারেন। এরপর ওসাওয়া কাঁচের টুকরো তুলে নিয়ে হত্যার হুমকিও দেন, যদিও পুলিশ তৎক্ষণাৎ তাঁকে বাধা দেয়।

আদালতের কঠোর মনোভাব

এই সমস্ত বিষয়গুলি বিবেচনা করে আদালত জানায় যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে চৈতন্য ওসাওয়াকে জামিন দেওয়া ন্যায়সঙ্গত হবে না। এছাড়াও, আদালত ২০২৩ সালের একটি মামলারও উল্লেখ করে, যেখানে ওসাওয়াকে মারধরের অভিযোগে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং পরে তাঁকে প্রবেশনে মুক্তি দেওয়া হয়।

Leave a comment