হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টি: সরাজে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ, ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০০ জনের বেশি

হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টি: সরাজে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ, ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০০ জনের বেশি

হিমাচল প্রদেশের সরাজ অঞ্চলে ৩০ জুন তারিখে হওয়া ভারী বৃষ্টিতে ব্যাপক ধ্বংসলীলা হয়েছে। ৩০০০ এর বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বহু বাড়িতে ফাটল ধরেছে এবং স্কুলের ভবনও বিপদের সম্মুখীন।

Himachal Flood: হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলার সরাজ বিধানসভা কেন্দ্রে ৩০ জুন তারিখে হওয়া মুষলধারে বৃষ্টিতে ব্যাপক ধ্বংস হয়েছে। এই বৃষ্টিতে লোয়ার সরাজের কান্ধি পঞ্চায়েত সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানে সরোয়া কাঁচি থেকে দারান, হান্দোচা এবং কোটলু পর্যন্ত সংযোগকারী রাস্তা বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে গেছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় ৩০০০ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ২০০-র বেশি বাড়ি বিপদের সম্মুখীন হয়েছে।

বানে রূপান্তরিত হওয়া ছোট নালা

বৃষ্টির কারণে দুটি ছোট নালা হঠাৎ করে বন্যায় পরিণত হয়। এর ফলে আশেপাশের জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায় এবং পায়ে হাঁটা পথ ভেসে যায়। অনেক বাড়িতে কাদা ঢুকেছে, যেখানে অনেকের উঠোন এবং দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। হান্দোচা গ্রামের বাসিন্দা খেম চাঁদের প্রায় ১০ লক্ষ টাকার শাটারিং খালোন নালায় ভেসে গেছে।

বাড়ির ক্ষতি, স্কুলও বিপদের সম্মুখীন

কান্ধি পঞ্চায়েতের প্রধান নেত্র সিং জানিয়েছেন যে তাঁর পঞ্চায়েতে প্রায় আটটি বাড়িতে গুরুতর ফাটল ধরেছে। অনেকের বাড়িতে কাদা জমেছে এবং ডাঁগা (রিটেনিং ওয়াল) ভেঙে গেছে।

এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির মধ্যে শের সিং, বকশি রাম, তিলক রাজ, উত্তম চাঁদ, যশপাল, বিমলা দেবী, ফাতে রাম, জিত পাল এবং খেম চাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পঞ্চায়েতের অন্যান্য গ্রামগুলিতেও অনেক বাড়ি অসুরক্ষিত হয়ে পড়েছে।

দারান গ্রামের স্কুলও বিপদের মুখে পড়েছে। তার একটি অংশের ভবন ভেঙে গেছে এবং মাঠ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত

এলাকার প্রধান সংযোগকারী রাস্তা ভেঙে যাওয়ার কারণে লোকেদের তাদের দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিসপত্র, যেমন রেশন এবং ওষুধপত্র পিঠে করে আনতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রশাসন থেকে কোনও তাৎক্ষণিক ত্রাণ পাওয়া যায়নি এবং কোনও স্থায়ী সমাধানও করা হয়নি।

প্রশাসনিক পরিদর্শন, কিন্তু ত্রাণকার্য শূন্য

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন যে এখন পর্যন্ত কেবল পাটোয়ারি এবং পঞ্চায়েত প্রধানই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। যদিও রিপোর্ট প্রশাসনকে পাঠানো হয়েছে, তবে তৃণমূল স্তরে এখনও কোনও ठोस ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

গ্রামবাসীদের আবেদন

স্থানীয় গ্রামবাসীরা প্রশাসনের কাছে জরুরি ত্রাণ ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, যদি দ্রুত রাস্তাগুলির মেরামত এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তবে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হতে পারে। খেম চাঁদ বলেন, যদি প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ না নেয় তবে জীবন ও সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।

Leave a comment