বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সকল রাজনৈতিক দল তাদের প্রস্তুতি জোরদার করেছে। এই সূত্রে, নির্দলীয় লোকসভা সাংসদ রাজেশ রঞ্জন ওরফে পাপ্পু যাদব সোমবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫: বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক কার্যকলাপ তুঙ্গে উঠেছে। সব দলই তাদের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে, নির্দলীয় সাংসদ এবং জন অধিকার পার্টির (জেএপি) নেতা রাজেশ রঞ্জন ওরফে পাপ্পু যাদব সোমবার দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। এই বৈঠকের সময় বিহারে মুখ্যমন্ত্রী পদের মুখ নিয়েও গভীর আলোচনা হয়।
পাপ্পু যাদব কংগ্রেসকে মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য কিছু নাম প্রস্তাব করেছেন
বৈঠকের পর পাপ্পু যাদব সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় স্পষ্ট করেছেন যে তিনি কংগ্রেস নেতৃত্বকে বিহারে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বেশ কয়েকটি বিকল্প প্রস্তাব করেছেন। পাপ্পু যাদব বলেন, "কংগ্রেসের কাছে বিহারে এমন অনেক মুখ রয়েছে, যারা মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে পারেন।" তিনি বিশেষভাবে দুটি নামের উল্লেখ করেন—
- রাজেশ কুমার (বিহার কংগ্রেস প্রদেশ সভাপতি)
- তারিক আনোয়ার (সিনিয়র সাংসদ এবং মুসলিম মুখ)
পাপ্পু যাদব বলেছেন যে, বিহারে কংগ্রেসের নেতৃত্বের কোনও অভাব নেই। দলের এমন নেতারা রয়েছেন, যাদের জনগণের মধ্যে শক্তিশালী গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে এবং যারা বিহারকে ভালো নেতৃত্ব দিতে পারেন।
পাপ্পু যাদব কী বলেছিলেন?
পাপ্পু যাদব বলেন, "কংগ্রেসকে বিহারে একটি শক্তিশালী কৌশল তৈরি করতে হবে। যদি আমাদের কোনও ভূমিকা দেওয়া হয়, তবে আমরা তা সম্পূর্ণরূপে পালন করব। রাজ্যে কংগ্রেসের মুখের অভাব নেই। রাজেশ কুমার এবং তারিক আনোয়ারের মতো নেতারা কংগ্রেসকে শক্তিশালী করবেন।" তিনি আরও বলেন যে বিহারে মহাজোটের মধ্যে সমন্বয় এবং কৌশল নিয়ে মনোযোগ দেওয়া দরকার।
সূত্রানুসারে, এই বৈঠকে বিহার বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কংগ্রেসের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে কংগ্রেসের বিহার ইনচার্জ কৃষ্ণ আল্লাভারু, প্রদেশ সভাপতি রাজেশ কুমার এবং অন্যান্য সিনিয়র নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। পাপ্পু যাদব এই প্রথমবার কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী বৈঠকে অংশ নিলেন।
আগের ঘটনা থেকে বড় ইঙ্গিত
উল্লেখ্য যে, কিছু দিন আগে, পটনায় মহাজোটের মিছিলের সময় পাপ্পু যাদবকে মঞ্চে জায়গা দেওয়া হয়নি। সেই সময় রাহুল গান্ধী এবং তেজস্বী যাদব সহ মহাজোটের অন্যান্য বড় নেতারা একটি ট্রাকে ছিলেন, কিন্তু পাপ্পু যাদবকে তা থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। এই ঘটনার পরে, এটি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তাঁর প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। এর থেকে এও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে কংগ্রেস এখন বিহারে মহাজোটের মধ্যে পাপ্পু যাদবকে বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছে।
এই মিটিংয়ে যখন পাপ্পু যাদব তারিক আনোয়ারের নাম প্রস্তাব করেন, তখন এটিকে বিহারে মুসলিম ভোট ব্যাংককে আকৃষ্ট করার কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। তারিক আনোয়ার কেবল কংগ্রেসের একজন সিনিয়র নেতাই নন, বরং তাঁর প্রভাব সীমাঞ্চল এবং মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে বেশ শক্তিশালী বলে মনে করা হয়। কংগ্রেস বিহারে তাদের মুসলিম ভোট ব্যাংককে পুনরায় সংগঠিত করার জন্য এই বিকল্পটি নিয়ে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে পারে।