পঞ্জাবে ধর্মীয় গ্রন্থ অবমাননার বিলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রস্তাব

পঞ্জাবে ধর্মীয় গ্রন্থ অবমাননার বিলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রস্তাব

পঞ্জাব বিধানসভায় ধর্মীয় গ্রন্থের অবমাননার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সহ সাজার বিল পেশ করা হয়েছে। বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হয়েছে, যা ৬ মাসের মধ্যে জনগণের মতামতের সাথে রিপোর্ট পেশ করবে।

Punjab News: পঞ্জাব বিধানসভা ধর্মীয় গ্রন্থের অবমাননার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সহ সাজার বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে (নির্বাচিত কমিটি) পাঠিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান কর্তৃক পেশ করা এই প্রস্তাবে এখন জনতা এবং ধর্মীয় সংস্থাগুলির মতামত নেওয়া হবে। কমিটি ছয় মাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবে।

ধর্মীয় গ্রন্থগুলির সম্মানের জন্য কঠোর আইনের দিকে পদক্ষেপ

পঞ্জাব সরকার ধর্মীয় গ্রন্থের অবমাননাকে গুরুতর অপরাধের श्रेणीতে আনার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান বিধানসভায় 'পঞ্জাব পবিত্র ধর্মগ্রন্থের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রতিরোধ বিল, ২০২৫' পেশ করেন, যা এখন বিস্তারিত আলোচনা ও পরামর্শের জন্য বিধানসভার সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

জনতা এবং ধর্মীয় সংস্থাগুলির কাছ থেকে মতামত চাওয়া হবে

বিধানসভার স্পিকার কুলতার সিং সান্ধওয়ান জানিয়েছেন যে সিলেক্ট কমিটি ছয় মাসের মধ্যে এই বিলের উপর তাদের রিপোর্ট পেশ করবে। এই সময়ে রাজ্যের জনগণ, ধর্মীয় সংগঠন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে এই বিষয়ে মতামত নেওয়া হবে। এটি বিলটিকে সকল সম্প্রদায়ের অনুভূতির সাথে আরও বেশি ভারসাম্যপূর্ণ করতে সহায়তা করবে।

অবমাননার ঘটনার জন্য কঠোর সাজার প্রস্তাব

এই বিলে বিধান রয়েছে যে, যদি কোনো ব্যক্তি গুরু গ্রন্থ সাহেব, ভগবত গীতা, কুরআন বা বাইবেলের মতো পবিত্র গ্রন্থগুলির অবমাননা করে, তবে তাকে কমপক্ষে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও, দোষীকে ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে।

অবমাননার চেষ্টা করলেও সাজার বিধান

বিলে এমন ব্যক্তিদের জন্যও শাস্তির বিধান করা হয়েছে যারা কেবল অপরাধ করার চেষ্টা করে। এই ধরনের লোকেদের তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে এবং তাদের সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করা যেতে পারে।

অপরাধের সংজ্ঞায় কী অন্তর্ভুক্ত থাকবে

বিল অনুসারে, কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ বা তার অংশের অপবিত্রতা, পোড়ানো, ছিঁড়ে ফেলা, ক্ষতি করা, ভাঙা বা কোনো প্রকার বিকৃত করা অপরাধের পর্যায়ে আসবে। শুধু তাই নয়, এই কাজে সহযোগিতা করা ব্যক্তিদেরও একইভাবে দণ্ড দেওয়া হবে।

ক্যাবিনেট বৈঠকে অনুমোদন মিলেছে

এই বিলটি মুখ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইতিমধ্যে অনুমোদন পেয়েছে। সরকারের ধারণা, ধর্মীয় গ্রন্থের অবমাননা কেবল বিশ্বাসের উপর আক্রমণ নয়, এটি সমাজে শান্তি ও सद्ভাবনার জন্যও হুমকি স্বরূপ।

২০১৫ সালের ঘটনার উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য

বিধানসভায় বিল পেশ করার সময় মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান বলেন যে, ২০১৫ সালে আকালি-বিজেপি সরকারের আমলে যে অবমাননার ঘটনা ঘটেছিল, তা আজও পাঞ্জাবের মানুষের মনে একটি ক্ষতের মতো রয়েছে। তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা পুনরায় সংঘটিত হওয়া বন্ধ করার জন্য কঠোর আইনের প্রয়োজন।

এই বিলটি বর্তমানে সিলেক্ট কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে যাতে সকল রাজনৈতিক দলের মতামত এতে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। ধারণা করা হচ্ছে যে, এই বিলটি পাশ করানোর জন্য সরকার ব্যাপক সমর্থন जुटाতে চাইছে।

Leave a comment