ভারতীয় রাজনীতি ও বিচারিক ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় এসেছে। সুপ্রিম কোর্ট অভয় সিং चौटालाকে স্বস্তি দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। এই আবেদনটি অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস কর্মকর্তা পরমবীর রাঠি দায়ের করেছিলেন।
নতুন দিল্লি: সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার একজন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস কর্মকর্তা কর্তৃক দায়ের করা একটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে, যেখানে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। আবেদনে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল-এর প্রধান অভয় সিং चौटालाকে ২০০৮ সালে দায়ের করা মানহানির মামলায় তলব করার আদেশ বাতিল করার ব্যাপারে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে বাতিল করার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। এই মামলাটি ওই অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস কর্মকর্তা দায়ের করেছিলেন।
বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চ স্পষ্ট করেছে যে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের আদেশে হস্তক্ষেপ করতে ইচ্ছুক নয়। এই শুনানি পরমবীর রাঠি কর্তৃক দায়ের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে হয়েছিল, যেখানে হাইকোর্টের ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩-এর আদেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল, যেখানে चौटालाকে তলব করার আদেশ বাতিল করা হয়েছিল।
মামলাটি কী ছিল

এই আবেদনে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল, যেখানে चौटालाকে ২০০৮ সালে দায়ের করা মানহানির মামলায় তলব করার আদেশ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছিল যে चौटाला অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করেছিলেন, যা বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল এবং এতে কর্মকর্তার সম্মানহানি হয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্টের রায়
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা ছিলেন। আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে তারা হাইকোর্টের আদেশে হস্তক্ষেপ করতে ইচ্ছুক নয়। এর ফলে সুপ্রিম কোর্ট পরমবীর রাঠির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
- আগস্ট ২০০৮: অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস কর্মকর্তা चौटाला এবং অন্য কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়েছিল যে चौटाला ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করেছিলেন, যা তাঁর সম্মানের অপূরণীয় ক্ষতি করেছে।
- ২০১০: গুরুগ্রামের একটি আদালত चौटालाকে সমন পাঠায়। चौटाला অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে এই সমনকে চ্যালেঞ্জ করেন।
হাইকোর্ট সমনের আদেশ বাতিল করে দেয়। হাইকোর্ট বলে যে রাঠি কর্তৃক উপস্থাপিত প্রাথমিক সাক্ষ্যের সময় এটা প্রমাণিত হয়নি যে चौटाला এই মানহানিকর মন্তব্যগুলি করেছিলেন। এই হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল, কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দেয়।












