প্রাক্তন মন্ত্রী আজম খান জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর লখনউতে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে দেখা করেছেন। এই সাক্ষাৎ উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এবং দুই নেতার মধ্যে শক্তিশালী রাজনৈতিক সহযোগিতার বার্তা দিয়েছে।
ইউপি রাজনীতি: প্রাক্তন মন্ত্রী আজম খান জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর লখনউতে সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে দ্বিতীয়বার দেখা করেছেন। এই সাক্ষাৎ উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। আজম খান সাক্ষাতের সময় বলেছেন যে তার সাথে যে অন্যায় হয়েছে, তা যেন আর কারো সাথে না হয়। তিনি এও স্পষ্ট করেছেন যে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে রেলের ট্র্যাকের উপর মাথা রাখবেন না।
আজম খান কী বললেন
আজম খান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে তার এবং অখিলেশ যাদবের মধ্যে আলোচনার মূল বিষয় ছিল যে তার মতো বিচারিক ও প্রশাসনিক সমস্যা যেন আর কারো সাথে না হয়। তিনি বলেছেন, “মানুষের আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাওয়া উচিত। যে সংস্থা আমার মামলার তদন্ত করছে, তাদের নিরপেক্ষভাবে ন্যায়বিচার করা উচিত। আমার সাথে, আমার পরিচিতদের সাথে এবং আমার তৈরি জওহর আলী ইউনিভার্সিটির সাথে যা কিছু ঘটেছে, তা যেন আর কারো সাথে না হয়।”
আজম এও জানিয়েছেন যে তিনি লখনউ এসেছিলেন, তাই অখিলেশ যাদবের সাথে দেখা করা জরুরি মনে করেছেন। তার এই সাক্ষাৎ শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা ছিল না, বরং তার রাজনৈতিক বার্তাকে শক্তিশালী করার দিক থেকে এটি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।

নীতিশ সরকারের প্রতি কটাক্ষ
যখন আজম খানকে বিহারে নির্বাচন ও প্রচারের জন্য যাওয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়, তখন তিনি সরাসরি উত্তর দিয়ে নীতীশ কুমার সরকারের উপর নিশানা সাধেন। তিনি বলেছেন, “বলা হচ্ছে যে বিহারে জঙ্গলরাজ চলছে। জঙ্গলে মানুষ থাকে না। আমি জঙ্গলরাজে কিভাবে যাবো? আমি ইচ্ছাকৃতভাবে রেলের ট্র্যাকের উপর মাথা রাখব না।” এর থেকে স্পষ্ট যে আজম খান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা মতামত দিচ্ছেন এবং কোনো ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কার্যকলাপে জড়িত হবেন না।
অখিলেশ যাদব আজম খানের সাথে এই সাক্ষাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। সাক্ষাতের পর তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ আজম খানের সাথে ছবি শেয়ার করেছেন। ছবিগুলির ক্যাপশনে অখিলেশ লিখেছেন, “আজ যখন তিনি আমাদের বাড়িতে এলেন, জানি না কত স্মৃতি তিনি তার সাথে নিয়ে এলেন। এই মেলামেশা ও মিলন আমাদের অভিন্ন ঐতিহ্য।” এই ক্যাপশন থেকে এই বার্তাও পাওয়া যায় যে দুই নেতার মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও সহযোগিতার একটি শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে।
অখিলেশ ও আজমের পূর্বের সাক্ষাতগুলি
এই সাক্ষাৎ প্রথমবার নয়। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর আজম খানের সাথে অখিলেশ যাদবের প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল রামপুরে তার বাড়িতে। সেই সময় দুজনেই সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছিলেন যে তাদের মধ্যে কোনো তিক্ততা নেই এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক রয়েছে। এখন আজম খান নিজেই লখনউতে এসে অখিলেশ যাদবের সাথে দেখা করেছেন, যা থেকে স্পষ্ট হয় যে তাদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস এবং রাজনৈতিক অংশীদারিত্ব এখনও বিদ্যমান।












