অভিষেকের কড়া বার্তা: কেষ্ট–কাজলদের দ্বন্দ্ব ভুলে একসঙ্গে চলার ডাক, বীরভূমে ১১ আসনে জয়ের টার্গেট

অভিষেকের কড়া বার্তা: কেষ্ট–কাজলদের দ্বন্দ্ব ভুলে একসঙ্গে চলার ডাক, বীরভূমে ১১ আসনে জয়ের টার্গেট

একদা বীরভূমে তৃণমূল মানেই অনুব্রত মণ্ডলের নাম। কিন্তু গরুপাচার মামলার পর তাঁর প্রভাব কমেছে অনেকটাই। বর্তমানে কোর কমিটির আহ্বায়ক হলেও জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব প্রায়শই সামনে আসে। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই ক্যামাক স্ট্রিটের বৈঠক থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বার্তা দিলেন—দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে ছাব্বিশের লড়াইয়ে নামতে হবে।

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ‘না’ বললেন অভিষেক

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীও। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ উঠতেই অভিষেক কোনও নাম না করে বলেন, ‘‘তৃণমূল একটা পরিবার। ব্যক্তিগত লড়াই ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে চলাই দলের শক্তি।’’

কোর কমিটির ভূয়সী প্রশংসা

বীরভূম তৃণমূল কোর কমিটির কাজকর্মের প্রশংসা করেন অভিষেক। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনও একক নেতার দাপটে নয়, বরং সমবেত নেতৃত্বের উপরই তাঁর আস্থা। বারবার কোর কমিটির নাম উচ্চারণ করেন তিনি।

সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে নতুন পদক্ষেপ

এই বৈঠকে রামপুরহাট টাউন ব্লক সভাপতির নাম চূড়ান্ত হয়নি। প্রস্তাবিত কয়েকটি নামের মধ্যে বেছে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অন্যদিকে সিউড়ি ব্লক-২’তে এক জন সভাপতি অথবা তিন সদস্যের কোর কমিটি গঠন করবে রাজ্য নেতৃত্ব।

কাজল শেখের সুর বদল

অভিষেকের বৈঠকের পর অনুব্রত-বিরোধী শিবিরের নেতা কাজল শেখ দ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘তৃণমূল এক বড় পরিবার। মতবিরোধ হতে পারে, কিন্তু তা মেটানোর দায়িত্ব অভিষেক ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। আমরা একসঙ্গে ছাব্বিশের ভোটে লড়ব।’’

অনুব্রতর নীরবতা

বৈঠক ঘিরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে মুখ খোলেননি অনুব্রত মণ্ডল। তবে কাজল শেখ ইঙ্গিত দেন, আর কোনও বেফাঁস মন্তব্য তিনি করবেন না। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মেনেই চলবেন সকলেই।

বীরভূম জেলা তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে কড়া বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোর কমিটির ভূয়সী প্রশংসা করে দলীয় ঐক্যের ডাক দিলেন তিনি। পাশাপাশি ছাব্বিশের নির্বাচনে জেলার ১১টি আসন দখলের লক্ষ্যও বেঁধে দিলেন।

Leave a comment