ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) পেমেন্ট অ্যাগ্রিগেটরদের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। এখন এদের তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে – PA-P, PA-CB এবং PA-O। ব্যবসা শুরু করার জন্য ন্যূনতম 15 কোটি টাকা নেট-ওয়ার্থ প্রয়োজন, যা তৃতীয় আর্থিক বছরের মধ্যে 25 কোটি টাকায় পৌঁছাতে হবে। নির্দেশিকাগুলি অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে।
RBI guidelines: ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পেমেন্ট অ্যাগ্রিগেটরদের নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে। এর অধীনে, পেমেন্ট অ্যাগ্রিগেটরদের তাদের কাজের উপর ভিত্তি করে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। ফিজিক্যাল (PA-P), ক্রস-বর্ডার (PA-CB) এবং অনলাইন (PA-O)। অ-ব্যাঙ্কগুলির জন্য ব্যবসা শুরু করার জন্য ন্যূনতম 15 কোটি টাকার নেট-ওয়ার্থ প্রয়োজন এবং তৃতীয় আর্থিক বছরের শেষে এটি 25 কোটি টাকায় পৌঁছাতে হবে। নির্দেশিকাগুলিতে এসক্রো অ্যাকাউন্ট, তহবিল ব্যবস্থাপনা, ক্রস-বর্ডার সীমা এবং শাসনের বিধানগুলিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পেমেন্ট অ্যাগ্রিগেটরদের জন্য তিনটি শ্রেণী
RBI-এর নির্দেশিকা অনুসারে, পেমেন্ট অ্যাগ্রিগেটরদের তাদের দ্বারা সম্পাদিত কাজের ভিত্তিতে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। ফিজিক্যাল পেমেন্ট অ্যাগ্রিগেটরদের PA-P, ক্রস-বর্ডার পেমেন্ট অ্যাগ্রিগেটরদের PA-CB এবং অনলাইন পেমেন্ট অ্যাগ্রিগেটরদের PA-O শ্রেণীতে রাখা হয়েছে। এই তিনটি শ্রেণীর জন্য পৃথক মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে।
ফিজিক্যাল পেমেন্ট অ্যাগ্রিগেটররা হলেন যারা প্রকৃত লেনদেন এবং পেমেন্ট গ্রহণ করেন। ক্রস-বর্ডার পেমেন্ট অ্যাগ্রিগেটররা আন্তর্জাতিক লেনদেন করেন। অন্যদিকে, অনলাইন পেমেন্ট অ্যাগ্রিগেটররা ডিজিটাল মাধ্যমে পেমেন্ট পরিষেবা সরবরাহ করেন।
RBI-এর নির্দেশিকাতে মূল বিধান
নন-ব্যাঙ্কিং পেমেন্ট অ্যাগ্রিগেটরদের ব্যবসা শুরু বা চালিয়ে যাওয়ার জন্য RBI থেকে অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক হবে। এর জন্য আবেদন করার সময় ন্যূনতম 15 কোটি টাকার নেট-ওয়ার্থ থাকা জরুরি। এছাড়াও, অনুমোদন পাওয়ার তৃতীয় আর্থিক বছরের শেষ নাগাদ ন্যূনতম 25 কোটি টাকার নেট-ওয়ার্থ অর্জন করতে হবে।
নির্দেশিকাগুলিতে এসক্রো অ্যাকাউন্ট এবং তহবিল ব্যবস্থাপনার নিয়মাবলীও উল্লেখ করা হয়েছে। PA-CB শ্রেণীর জন্য ক্রস-বর্ডার লেনদেনের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্দেশিকাতে আরও বলা হয়েছে যে প্রবর্তকদের 'উপযুক্ত এবং যথাযথ' মানদণ্ড অনুসরণ করতে হবে।
RBI এপ্রিল 2024-এ পেমেন্ট অ্যাগ্রিগেটরদের উপর একটি খসড়া নির্দেশিকা জারি করেছিল। এরপর সমস্ত অংশীদারদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পর চূড়ান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
ব্যাঙ্ক এবং নন-ব্যাঙ্ক পেমেন্ট অ্যাগ্রিগেটর
ব্যাঙ্কগুলিকে পেমেন্ট অ্যাগ্রিগেটর ব্যবসা করার জন্য আলাদাভাবে অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। অন্যদিকে, নন-ব্যাঙ্কিং সংস্থাগুলির জন্য নির্দিষ্ট পুঁজির প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি নন-ব্যাঙ্কিং পেমেন্ট অ্যাগ্রিগেটরদের আর্থিক অবস্থা এবং কার্যকারিতার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।
ব্যবসা এবং নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব
RBI নির্দেশিকাতে বলেছে যে পেমেন্ট অ্যাগ্রিগেটরদের তাদের ব্যবসায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। তহবিল ব্যবস্থাপনা, লেনদেন রেকর্ড এবং গ্রাহকের অর্থের সুরক্ষার জন্য নির্দেশিকাতে স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, প্রবর্তক এবং পরিচালকদের নিয়ম মেনে চলা বাধ্যতামূলক হবে।
ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে বিশ্বাস এবং সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর অধীনে, যেকোনো ধরনের ইচ্ছাকৃত অপব্যবহার বা নিয়ম লঙ্ঘনের প্রতিরোধের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।
ব্যবসায়িক প্রভাব
পেমেন্ট অ্যাগ্রিগেটরদের জন্য নতুন নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার ফলে নন-ব্যাঙ্কিং সংস্থাগুলিকে তাদের আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। এই পদক্ষেপটি ছোট এবং নতুন অ্যাগ্রিগেটরদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। অন্যদিকে, বড় এবং প্রতিষ্ঠিত অ্যাগ্রিগেটরদের জন্য এই নিয়মগুলি ব্যবসায়িক স্থিতিশীলতা এবং নিয়ন্ত্রণের একটি সুযোগও উপস্থাপন করে।
নির্দেশিকাগুলির প্রভাব ডিজিটাল পেমেন্ট ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বাড়াতে এবং গ্রাহকদের অর্থের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। এটি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে এবং বাজারে নিয়ন্ত্রণের স্তর শক্তিশালী করবে।