ট্রাম্প-মোদী বন্ধুত্বেই চাপে ভারত! বিদেশনীতি নিয়ে মোদীকে তীব্র কটাক্ষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

ট্রাম্প-মোদী বন্ধুত্বেই চাপে ভারত! বিদেশনীতি নিয়ে মোদীকে তীব্র কটাক্ষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

ট্রাম্পের ৫০% শুল্কেই বিদেশনীতি ব্যর্থ! প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধলেন অভিষেক

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বাণিজ্য হুঁশিয়ারি ও ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানো নিয়ে সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, যাঁরা আমেরিকায় গিয়ে ট্রাম্পের বন্দনা করলেন, তাঁরাই আজ দেশের ঘাড়ে এই বোঝা চাপালেন। শুল্ক চাপানোকে তিনি সরাসরি ভারতের কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেন।

বন্ধু’ ডোনাল্ডই আজ ভারতের বিরুদ্ধে! ভিডিও দেখিয়ে তির্যক প্রশ্ন অভিষেকের

অভিষেক এদিন সাংবাদিকদের সামনে মোদীর ২০১৯ সালের সেই বিখ্যাত বক্তব্যের ভিডিও দেখান, যেখানে মোদী বলেছিলেন, “My Friend, Donald Trump is India’s Friend”! সেই ভিডিও তুলে ধরে অভিষেকের প্রশ্ন—এত বন্ধু, এত সখ্য? তাহলে বন্ধুই কেন ভারতের উপর ট্যারিফ চাপিয়ে দিলেন? তাঁর মতে, এই ঘটনা ভারতের সার্বভৌমত্বকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছে।

আইটি থেকে টেক্সটাইল—ট্যারিফের ধাক্কায় অর্থনীতির নতুন বিপদ

শুল্ক আরোপের ফলে ভারতের অর্থনীতির উপর গভীর প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছেন অভিষেক। তিনি বলেন, “এই ট্যারিফ সরাসরি প্রভাব ফেলবে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি, ফার্মাসিউটিক্যাল ও টেক্সটাইল খাতে। যার ফলশ্রুতিতে কর্মসংস্থান কমবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে রপ্তানি বাজার। মোদী সরকারের নীরবতা দেখে মনে হচ্ছে, বন্ধুত্বের দাম আজ দেশের অর্থনীতিকে দিতে হচ্ছে।”

“ট্রাম্পের প্রচারে গিয়েছিল কারা?”—সরাসরি বিজেপির দিকেই আঙুল তোলেন অভিষেক

অভিষেক এদিন আরও বলেন, কে ট্রাম্পের পক্ষে টেক্সাসে প্রচার করতে গিয়েছিল? কারা তাঁর সমর্থনে যজ্ঞ করেছিল? সব ভিডিও সমাজমাধ্যমে আছে।” স্পষ্ট ভাষায় অভিষেক বলেন, তৃণমূল কখনও ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানায়নি, কখনও তাঁর প্রচারে অংশ নেয়নি। বিজেপির সঙ্গে ট্রাম্পের যে ঘনিষ্ঠতা ছিল, সেই সম্পর্কই আজ ভারতের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ভারতের সুনাম কোথায় গেল? প্রশ্ন অভিষেকের

ভারতের আন্তর্জাতিক অবস্থান নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন অভিষেক। বলেন, “পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও দেশ আজ মুখ খোলে না। পহেলগাঁওয়ের পর আমি বহু দেশ ঘুরেছি। কিন্তু কেউই ভারতের পক্ষ নেয়নি। তাহলে এত বিদেশ ভ্রমণের ফল কী হল?” তাঁর মতে, মোদী সরকারের বিদেশনীতি কেবল জনসংযোগের ছবি—কূটনৈতিক বাস্তবতায় তার কোনো ফসল নেই।

২০১৯ সালের মোদী-ট্রাম্প সখ্যই আজ ঘাড়ে চাপে! আরও অভিযোগ অভিষেকের

সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বলেন, ২০১৯ সালে মোদীজি স্বয়ং ট্রাম্পের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছিলেন। আজ তিনিই যেন নীরব দর্শক। দেশের উপর ৫০% শুল্ক চাপানো হল, আর প্রধানমন্ত্রী একটাও শব্দ বললেন না। কোথায় গেল সেই বন্ধুত্ব? অভিষেকের দাবি, এই শুল্ক শুধুই বাণিজ্যিক চাপ নয়, এটা একটা রাজনৈতিক অপমানও।

‘অর্থনীতি আইসিইউতে’, মোদী আমলের ১০ বছরকে ব্যর্থতার দশক বললেন অভিষেক

আলোচনার শেষে অভিষেক বলেন, মোদী আমলে ভারতের অর্থনীতি আইসিইউতে। ১০ বছরে শুধু প্রতিশ্রুতি, বাস্তবতায় শূন্য। এই বিদেশনীতি ভারতের স্বার্থের পক্ষে নয়, বরং মাথা নত করার রাজনীতি।” তাঁর বক্তব্যের প্রতিটি বাক্যই ছিল কেন্দ্রকে নিশানা করে ছোড়া তির।

ট্রাম্পের ৫০% শুল্ক আরোপে তীব্র ক্ষোভ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

মোদীর ২০১৯ সালের ‘My Friend, Trump’ ভিডিও তুলে ধরেন

শুল্কের ফলে অর্থনীতির ওপর প্রবল ধাক্কার আশঙ্কা, কর্মসংস্থানে প্রভাব

অভিষেকের অভিযোগ—ট্রাম্প প্রচারে বিজেপি নেতারাই গিয়েছিলেন

আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ

মোদী আমলে দেশ অর্থনৈতিক সংকটে, বিদেশনীতিও ব্যর্থ বললেন অভিষেক

Leave a comment