আজমিরের প্রতাপ নগরে একটি বাথরুমে কমোডের উপর একটি কালো কোবরা সাপ দেখতে পাওয়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সর্পমিত্র সুখদেব ভট্ট সাপটিকে নিরাপদে উদ্ধার করে জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছেন। কেউ আহত হননি।
আজমির: রাজস্থানের আজমির জেলায় একটি অদ্ভুত ও বিপজ্জনক ঘটনা সামনে এসেছে। একজন ব্যক্তি যখন তাঁর দোতলা বাড়ির বাথরুম ব্যবহার করতে যান, তখন দরজা খুলতেই তাঁর চোখ কপালে ওঠে। কমোডের উপর একটি কালো কোবরা সাপ জড়িয়ে ছিল। এই সাপটি এতটাই বিপজ্জনক যে যদি কাউকে কামড়ায় তাহলে জীবন সংকটে পড়তে পারে। সৌভাগ্যবশত এই ঘটনায় কেউ আহত হননি।
বাথরুমে দেখা গেল কালো কোবরা
আজমিরের প্রতাপ নগর এলাকার একটি বাড়ির বাথরুমে হঠাৎ একটি কালো কোবরা দেখা যায়। বাড়ির মালিক দরজা খুলতেই সামনে সাপ দেখে তাঁর শ্বাস প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তিনি দ্রুত উদ্ধারকারী দলকে খবর দিতে দৌড়ান।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে সর্পমিত্র সুখদেব ভট্ট বিন্দুমাত্র দেরি না করে কোবরাটিকে ধরে ফেলেন এবং নিরাপদে জঙ্গলে ছেড়ে দেন। ভট্ট জানান যে এই পুরো ঘটনায় কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হননি এবং সময় মতো খবর দেওয়ায় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
কোবরা সাপের বিপদ এবং নিউরোটক্সিন বিষ
সর্পমিত্র সুখদেব ভট্টের মতে, কালো কোবরা সাপের মধ্যে নিউরোটক্সিন বিষ পাওয়া যায়। যদি এটি কোনো মানুষকে কামড়ায়, তাহলে পেশী কাজ করা বন্ধ করে দেয় এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে। সময় মতো চিকিৎসা না পেলে প্রাণহানিও ঘটতে পারে।
ভট্ট জানান যে কোবরা তাদের শরীরের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মাটি থেকে উপরে তুলতে পারে। এই আচরণ তারা তাদের শিকারকে ভয় দেখাতে এবং আক্রমণ করার আগে করে থাকে। বর্ষাকালে এমন ঘটনা বৃদ্ধি পায়, কারণ সাপ বৃষ্টির জল এবং বাড়ির ভেজা অংশে প্রবেশ করে।
উদ্ধারকারী দলের নিরাপত্তা ও প্রতিরোধের পরামর্শ
সুখদেব ভট্ট বাড়ির সদস্যদের এবং সাধারণ মানুষকে আবেদন করেছেন যে যদি কখনও বাড়িতে সাপ দেখা যায়, তবে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। দ্রুত সংশ্লিষ্ট সর্পমিত্র বা ওয়াইল্ডলাইফ রেসকিউ টিমকে খবর দিন। ভুলভাবে সাপ ধরার চেষ্টা করলে গুরুতর দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ভট্ট জানান যে এই ঘটনায় কোবরা কীভাবে দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত পৌঁছাল, তা জানা যায়নি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা যে ছোট ছিদ্র, পাইপলাইন বা সিঁড়ির মাধ্যমে সাপ বাড়ির উপরের অংশে পৌঁছাতে পারে। তাই বর্ষাকালে বাড়ির ভেজা অংশগুলির প্রতি বিশেষ নজর রাখা উচিত।