অভিনেত্রী ও ইউটিউবার প্রাজকতা কোলি নেপালে ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভ ও অস্থিরতার কারণে তাঁর নেপাল সফর বাতিল করেছেন। 'যুগ যুগ জিও' তারকা বলেছেন যে তিনি নেপাল থেকে আসা ছবি দেখে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন এবং এই সংবেদনশীল সময়ে উদযাপনের মেজাজে নেই।
বিনোদন: নেপালে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিক্ষোভ ও সহিংসতার পর এবার বলিউড এবং ডিজিটাল জগতের তারকারা তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছেন। এদের মধ্যে ইউটিউবার ও অভিনেত্রী প্রাজকতা কোলিও (Prajakta Koli) রয়েছেন। যুগ যুগ জিও তারকা প্রাজকতা তাঁর নেপাল সফর বাতিল করেছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সমবেদনা জানিয়েছেন।
প্রাজকতা কোলি নেপাল সফর বাতিল করেছেন
প্রাজকতা কোলি, যিনি অনলাইনে "MostlySane" নামে পরিচিত, মঙ্গলবার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন যে নেপালে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি "হৃদয়বিদারক"। তিনি বলেন, "এই সময়ে কোনও রকম উৎসব পালন করা সঠিক মনে হয় না। আমার সমবেদনা সেই পরিবারগুলির প্রতি যারা দুঃখের সম্মুখীন হয়েছেন। আমি সেখানে গিয়ে সবার সাথে দেখা করার জন্য খুব উত্তেজিত ছিলাম, কিন্তু এটি সঠিক সময় নয়। আশা করি আমি শীঘ্রই আপনাদের সবার সাথে দেখা করতে পারব।"
প্রাজকতা সম্প্রতি কাঠমান্ডুতে জন্মগ্রহণকারী আইনজীবী বৃষাঙ্ক খনাাল-কে বিয়ে করেছেন এবং এই নেপাল সফর তাঁর জন্য ব্যক্তিগত ও পেশাগত উভয় দিক থেকেই বিশেষ হতে পারত। কিন্তু দেশে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা ও সহিংসতার কারণে তিনি এই সফর স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মণীষা কৈরালাও সহিংসতার নিন্দা করেছেন
নেপালের বিখ্যাত অভিনেত্রী মণীষা কৈরালাও বিক্ষোভ চলাকালীন সহিংসতার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি এটিকে "কালো দিন" বলে অভিহিত করেছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় রক্তের দাগযুক্ত জুতার ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, "আজ নেপালের জন্য কালো দিন, যখন জনগণের কণ্ঠস্বর, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ এবং ন্যায়ের দাবির জবাবে গুলি চালানো হয়।" মণীষার এই পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হয়েছে এবং লোকেরা তাঁর বার্তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
নেপালে কেন সহিংসতা হচ্ছে?
নেপালে বিক্ষোভ ও সহিংসতা শুরু হয়েছিল যখন সরকার বেশ কয়েকটি প্রধান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব, রেডডিট এবং এক্স (পূর্বের টুইটার) নিষিদ্ধ করে। এর সাথে, সকল ব্যবহারকারীকে ২৮ আগস্টের মধ্যে যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।
এই নীতিগুলির বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। অন্তত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে, যার পর নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলিকে পদত্যাগ করতে হয়। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা এই অস্থিরতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।