বিহার সরকার কৃষক উপদেষ্টাদের বেতন ১৩ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২১ হাজার টাকা প্রতি মাসে করেছে। জিরো অফিস ডে-র উদ্যোগে কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে কৃষকদের সমস্যা বুঝবেন এবং পরিকল্পনাগুলোকে কার্যকর করবেন।
Bihar News: বিহার সরকার কৃষক উপদেষ্টাদের বেতনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করেছে। দীর্ঘদিন ধরে বেতন বাড়ানোর দাবি করা কৃষক উপদেষ্টারা এখন প্রতি মাসে ২১,০০০ টাকা পাবেন। এর আগে এই পরিমাণ ছিল ১৩,০০০ টাকা। এই সিদ্ধান্তে রাজ্যের সত্তারকাটায়া ব্লকের কৃষক উপদেষ্টাদের মধ্যে খুশির लहर দেখা দিয়েছে। অনেক উপদেষ্টা বলেছেন যে এই বৃদ্ধি তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে এবং কৃষকদের সেবায় আরও উৎসাহ জোগাবে।
কৃষক উপদেষ্টাদের বক্তব্য, এই বেতন বৃদ্ধির ফলে তারা কৃষিকাজ সংক্রান্ত পরিকল্পনাগুলোকে কার্যকরভাবে রূপায়ণ করতে এবং কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা ছড়াতে সাহায্য করবে। তারা মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং কৃষি মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন যে সরকারের এই পদক্ষেপ তাদের মনোবল বাড়াবে।
কৃষকদের সেবায় বেড়েছে প্রেরণা
সত্তারকাটায়া ব্লকের কৃষক উপদেষ্টা আদিত্য কুমার, মায়াশঙ্কর সিং, কুমার গণেশ, সঞ্জীব কুমার রায়, সুধীর কুমার, ধীরেন্দ্র কুমার, বিনোদ কুমার এবং ব্রজনন্দন কুমার বলেছেন যে এই সিদ্ধান্ত তাদের জন্য একটি বড় উপহার। এখন তারা আরও উৎসাহের সাথে কৃষকদের কাছে পরিকল্পনাগুলি পৌঁছে দেবেন এবং তাদের সমস্যার সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা নেবেন।
উপদেষ্টাদের মতে, ক্ষেতে-ক্ষেতে গিয়ে কৃষকদের সাথে সরাসরি কথা বলার এবং তাদের চাহিদা বোঝার সুযোগ পাওয়া যাবে। এতে পরিকল্পনাগুলোর আসল প্রভাব বোঝা যাবে এবং কৃষি ক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা বাড়বে।
কৃষি বিভাগ শুরু করেছে জিরো অফিস ডে
বিহার সরকার কৃষি আধিকারিকদের কাজকর্মের পরিবর্তন আনতে 'জিরো অফিস ডে'র উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগে আধিকারিকরা তাদের অফিসে বসে কাজ করার পরিবর্তে সরাসরি ক্ষেত্র এবং গ্রাম পরিদর্শন করবেন। এর উদ্দেশ্য কৃষকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা, তাদের সমস্যা বোঝা এবং কৃষি পরিকল্পনাগুলোর বাস্তব অবস্থা মূল্যায়ন করা।
এই উদ্যোগের আওতায় বুধবার ব্লকের কৃষি আধিকারিক কেদার রায় ভেলওয়া এবং সত্তার পঞ্চায়েতে কৃষকদের ক্ষেত্র পরিদর্শন করেছেন। তিনি মোটা শস্য অর্থাৎ মিলেট ফসলের পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন এবং বিভাগ কর্তৃক বিতরণ করা বীজ ও অন্যান্য সামগ্রী যাচাই করেন।
মিলেট চাষের সুবিধা এবং সচেতনতা
কেদার রায় কৃষকদের মিলেট ফসলের অর্থনৈতিক এবং পুষ্টি সম্পর্কিত সুবিধা সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন। তিনি কৃষকদের এই চাষের মাধ্যমে আয় বাড়ানো এবং পরিবেশ বান্ধব কৃষি করার উপায় সম্পর্কে অবগত করেছেন। কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, এই ধরনের পরিদর্শন কৃষকদের সমস্যাগুলো দ্রুত বুঝতে এবং তাদের সমাধানে সহায়ক হবে।
জিরো অফিস ডে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মকর্তারা জানতে পারেন যে পরিকল্পনাগুলো কতটা কার্যকর এবং কোন ক্ষেত্রে উন্নতির প্রয়োজন। এর ফলে সরকারি সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হয় এবং কৃষকরা প্রকৃত সুবিধা পান।
পরিকল্পনার উদ্দেশ্য
কৃষি বিভাগের এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো পরিকল্পনাগুলোর বাস্তব পরিস্থিতি জানা এবং কর্মকর্তা ও কৃষকদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা। এর ফলে কৃষিতে উন্নতি, নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ এবং সরকারি পরিকল্পনাগুলোর আরও ভালোভাবে বাস্তবায়নে সাহায্য করবে।