বিহার মহাজোট আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। আজ পাটনায় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসন বণ্টন এবং উপমুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Bihar Election 2025: বিহারের আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন দল নিয়ে গঠিত মহাজোট আজ এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তেজস্বী যাদব মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জোট তাদের নির্বাচনী কৌশলকে একটি নির্দিষ্ট দিশা দিয়েছে।
আজ পাটনায় সংবাদ সম্মেলন
আজ সকালে রাজধানী পাটনার হোটেল মৌর্যে মহাজোটের যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জোট স্পষ্ট করবে যে আসন বণ্টনের বিষয়টি কীভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর বিষয়ে কীভাবে ঐকমত্য হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনস্থলে তেজস্বী যাদবের ছবি সহ পোস্টার লাগানো হয়েছে, যা এই ইঙ্গিতকে আরও জোরালো করে যে তিনিই জোটের নির্ধারিত নেতা।
কংগ্রেসও মানল তেজস্বীর নেতৃত্ব
সূত্র অনুযায়ী, জোটে অন্তর্ভুক্ত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসও তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেসের দ্বিধা দূর হয়েছে এবং তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তেজস্বীর নামেই এগিয়ে যাওয়া হবে। এই পদক্ষেপ জোটের মধ্যে মতভেদ কমানোর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
আসন বণ্টন ও উপমুখ্যমন্ত্রী পদের রহস্য আজ শেষ হবে
আজকের সংবাদ সম্মেলনে এটিও স্পষ্ট হয়ে যাবে যে আসন বণ্টনের বিষয়টি কীভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে। গত কিছুদিন ধরে এই বিতর্ক আলোচনায় ছিল যে কোন আসনে কে লড়ছে এবং কোন দল কত অংশীদারিত্ব পাচ্ছে। একই সাথে, উপমুখ্যমন্ত্রী পদের প্রার্থী কে হবেন — বিশেষ করে মুকেশ সাহানির নাম এই পদের জন্য বাইরে ছিল, তা নিয়েও সাসপেন্স ছিল। আজ এই বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গেহলত নিজেই জট খুললেন
কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা অশোক গেহলত বুধবার বিহারের ইনচার্জ সহ দলের অন্যান্য নেতাদের সাথে বৈঠক করে জোটের চ্যালেঞ্জগুলো দূর করার কাজ করেছেন। গেহলত লালু প্রসাদ যাদব এবং তেজস্বী যাদবের সাথে দেখা করেন এবং এই সময় আসন বণ্টন, নেতৃত্ব নির্বাচন এবং কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এই আলোচনার মাধ্যমে জোট একটি পথ খুঁজে পেয়েছে, যার ফলে আজকের সংবাদ সম্মেলন এবং ঘোষণাগুলো সহজভাবে করা সম্ভব হবে।
‘চলো বিহার… বদলাই বিহার’ নতুন স্লোগান
জোট নির্বাচনী প্রচারণার জন্য নতুন স্লোগান ঠিক করেছে — “চলো বিহার… বদলাই বিহার”। এই স্লোগানের মাধ্যমে তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে জোট সাধারণ মানুষের মধ্যে তাদের সক্রিয়তা দেখাতে চায়। এই কৌশলের উদ্দেশ্য হল বিহারে পরিবর্তনের যে মেজাজ রয়েছে, তার উপর জনগণকে বিশ্বাস করানো যে নতুন নেতৃত্বের সাথে একটি উন্নত ভবিষ্যৎ সম্ভব।
নিরপেক্ষ বণ্টনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে
কংগ্রেস এই বিষয়ে জোর দিয়েছে যে আসন বণ্টন নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ হওয়া উচিত। এই কারণেই জোটের মধ্যে কিছু আসনে প্রার্থী ঘোষণা দেরিতে হচ্ছিল। সূত্র অনুযায়ী, প্রায় অর্ধ ডজন আসনে কংগ্রেস এবং আরজেডির মধ্যে এবং কিছু আসনে অন্যান্য ছোট দলগুলোর মধ্যে মতভেদ ছিল — তবে এখন এই মতভেদগুলো অনেকটাই কমিয়ে আনা হয়েছে।