ড্রাগ মানি হেৰাফেৰি মামলায় বিক্রম মাজীঠিয়ার হেফাযত মোহালি আদালত আরও ৪ দিনের জন্য বাড়িয়েছে। ভিজিল্যান্স ২৫ জুন তারিখে গ্রেফতার করেছিল। ৫৪০ কোটির মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে।
মোহালি। শিরোমণি আকালি দলের সিনিয়র নেতা বিক্রম সিং মাজীঠিয়ার সমস্যা আপাতত কমছে না। মোহালির একটি আদালত বুধবার ভিজিল্যান্স ব্যুরোর আবেদনে তার হেফাযতের মেয়াদ আরও চার দিন বাড়িয়েছে। মাজীঠিয়াকে ২৫ জুন বেআইনি সম্পত্তি (Disproportionate Assets) মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল।
সাত দিনের হেফাযতের পর পুনরায় আদালতে পেশ
বিক্রম মাজীঠিয়াকে বুধবার মোহালি আদালতে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে পেশ করা হয়। এর আগে তিনি সাত দিন ভিজিল্যান্স হেফাযতে ছিলেন। এই সময়ে ভিজিল্যান্স ব্যুরো মামলার সঙ্গে জড়িত প্রমাণ জোগাড় এবং মানি ট্রেইল ট্র্যাক করার চেষ্টা করে।
সরকারি আইনজীবী ফেরি সোফট জানান যে, তদন্ত এজেন্সি হেফাযত বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিল, যা আদালত মঞ্জুর করেছে। আদালত অভিযুক্তকে আরও চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে। এই সময়ে আদালত এবং ভিজিল্যান্স অফিসের বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ কঠোর ছিল।
৫৪০ কোটির ড্রাগ মানি হেৰাফেৰির অভিযোগ
ভিজিল্যান্স ব্যুরোর দাবি, প্রাথমিক তদন্তে এটা সামনে এসেছে যে মাজীঠিয়া ৫৪০ কোটি টাকার ড্রাগ মানি বিভিন্ন মাধ্যমে হেৰাফেৰি করেছেন। এজেন্সি এটিকে মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে যুক্ত করে বলেছে যে, এই টাকার ব্যবহার সম্পত্তি কেনা এবং অন্যান্য আর্থিক লেনদেনে করা হয়েছে।
এই মামলাটি ২০২১ সালের একটি ড্রাগ কেসের সঙ্গে জড়িত, যার তদন্ত পাঞ্জাব পুলিশের বিশেষ তদন্ত দল (SIT) করছে। SIT-এর প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, মাজীঠিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অনেক প্রমাণ পাওয়া গেছে।
NDPS অ্যাক্টে আগেও গ্রেফতার হয়েছেন
বিক্রম মাজীঠিয়া এর আগে ২০২১ সালে NDPS (Narcotic Drugs and Psychotropic Substances) অ্যাক্টের অধীনে গ্রেফতার হয়েছিলেন। সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, তিনি রাজ্যে ড্রাগ নেটওয়ার্ককে সমর্থন জুগিয়েছেন এবং এর থেকে আর্থিক সুবিধা লাভ করেছেন।
২০২১ সালের গ্রেফতারি অ্যান্টি-ড্রাগ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)-এর ২০১৮ সালের রিপোর্টের ভিত্তিতে হয়েছিল। সেই সময় তিনি পাতিয়ালা জেলে পাঁচ মাসের বেশি সময় কাটিয়েছিলেন। এরপর আগস্ট ২০২২ সালে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিন পান।