বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-কে সামনে রেখে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর পাটনায় একটি বড় বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাটনা: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করার জন্য বিজেপি ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর পাটনায় একটি বড় বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বৈঠকটি দলের কার্যালয়ে, রাজ্য সভাপতির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বিহার বিজেপির প্রধান নেতা, সাংসদ, বিধায়ক এবং পদাধিকারীরা উপস্থিত থাকবেন। সূত্র অনুযায়ী, এই বৈঠক দুদিন ধরে চলবে।
প্রথম দিন অর্ধেক জেলার প্রধান নেতা ও পদাধিকারীদের ডাকা হবে, আর দ্বিতীয় দিনে বাকি জেলাগুলির বৈঠক হবে। প্রতিটি জেলা থেকে প্রায় ২০-২৫ জন নেতা এতে অংশ নেবেন। বৈঠক সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে গভীর সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে, যাতে নির্বাচনী কৌশল এবং প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যায়।
বৈঠকের সময় প্রধান বিষয়গুলি
এই বৈঠকের মাধ্যমে বিজেপি-র উদ্দেশ্য হল ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়াকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া। দলের নেতাদের বক্তব্য, প্রার্থী বাছাইয়ে স্থানীয় সমীকরণ, বাস্তব পরিস্থিতি এবং কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
- প্রার্থী বাছাইয়ের চূড়ান্ত রূপরেখা
- বুথ স্তরে সংগঠনের শক্তি এবং সমন্বয়
- জেলা ও রাজ্য স্তরে ঐক্য বজায় রাখা
- নির্বাচনী কৌশল এবং প্রচার অভিযানের রূপরেখা
বিজেপি-র কৌশল হল সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পক্ষের মতামত নিয়ে নির্বাচনী ময়দানে ঐক্যবদ্ধভাবে নামা।
দু’দিনের বৈঠকের বিবরণ
- সূত্র অনুযায়ী, বৈঠক দু’দিন ধরে চলবে।
- প্রথম দিন: অর্ধেক জেলার প্রধান নেতা ও পদাধিকারীদের ডাকা হবে।
- দ্বিতীয় দিন: বাকি জেলাগুলির নেতাদের বৈঠক হবে।
- প্রতিটি জেলা থেকে প্রায় ২০-২৫ জন নেতা বৈঠকে অংশ নেবেন। বৈঠক সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে গভীর সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে।
বুথ শক্তিশালীকরণ এবং সংগঠনের উপর জোর
বৈঠকে শুধু প্রার্থী বাছাই নয়, বুথ স্তরে সংগঠনকে শক্তিশালী করার উপরও জোর দেওয়া হবে। দল চায় যে বুথ স্তর থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতৃত্ব পর্যন্ত সমস্ত কর্মী ও নেতা ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে লড়ুক। এর উদ্দেশ্য হল:
- কর্মীদের মধ্যে আরও ভালো সমন্বয় স্থাপন করা
- জেলা ও আঞ্চলিক নেতৃত্বের সাথে সমন্বয় বাড়ানো
- স্থানীয় সমস্যা এবং ভোটারদের অগ্রাধিকারগুলিকে নির্বাচনী কৌশলে অন্তর্ভুক্ত করা
- রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং নির্বাচনী কৌশল
বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিরোধীদের কৌশল নিয়েও আলোচনা হবে। দলের প্রবীণ নেতাদের বক্তব্য, এই সুযোগকে এনডিএ জোটের অবস্থান শক্তিশালী করতে, প্রচার অভিযান তৈরি করতে এবং সাংগঠনিক কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য ব্যবহার করা হবে।