যদি আপনি দ্বাদশ শ্রেণির পর কর্মজীবন নিয়ে দ্বিধায় থাকেন, তবে বিদেশে পড়াশোনার এই পাঁচটি কোর্স আপনার জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। হেলথকেয়ার, এআই, ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এবং কম্পিউটার সায়েন্সের মতো ক্ষেত্রগুলিতে শুধুমাত্র চাকরির নিশ্চয়তা নেই, বরং প্রাথমিক বছরগুলিতেই লক্ষ লক্ষ টাকা বেতন পাওয়ার সুযোগও রয়েছে।
Study Abroad And Career Opportunities: আজকের দিনে যুবকরা শুধুমাত্র একটি ডিগ্রি চায় না, বরং এমন একটি কোর্স চায় যা তাদের বিশ্বব্যাপী পরিচিতি এবং একটি সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ দেবে। দ্বাদশ শ্রেণির পর বিদেশে হেলথকেয়ার, কম্পিউটার সায়েন্স, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো কোর্সগুলির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপের মতো দেশগুলিতে এই ক্ষেত্রগুলির পেশাদারদের প্রাথমিক পর্যায়েই বার্ষিক 40 হাজার ডলার থেকে এক লক্ষ ডলার পর্যন্ত প্যাকেজ অফার করা হয়, যা এগুলিকে সবচেয়ে আকর্ষণীয় কর্মজীবনের বিকল্প করে তোলে।

১. হেলথকেয়ার
হেলথকেয়ার এমন একটি ক্ষেত্র যা কখনো থামে না। ডাক্তার, নার্স, মেডিকেল অ্যানালিস্ট এবং হেলথ টেকনোলজি বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজন প্রতিটি দেশে বিদ্যমান। মহামারী এবং পরিবর্তিত জীবনযাত্রার কারণে স্বাস্থ্য পেশাদারদের চাহিদা আরও বেড়েছে। যদি আপনি সেবার মনোভাব নিয়ে একটি ভালো কর্মজীবন গড়তে চান, তবে এই ক্ষেত্রটি আপনার জন্য একদম সঠিক।
বিদেশে নার্সিং, ফার্মেসি, পাবলিক হেলথ এবং মেডিকেল সায়েন্সের মতো কোর্সগুলিতে অসীম সুযোগ রয়েছে। আমেরিকা, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলিতে এই ক্ষেত্রগুলিতে প্রাথমিক বেতন বার্ষিক 40 থেকে 70 হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
২. কম্পিউটার সায়েন্স এবং আইটি
কম্পিউটার সায়েন্স এখন শুধুমাত্র কোডিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বর্তমানে এতে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ক্লাউড ইঞ্জিনিয়ারিং, সাইবার সিকিউরিটি এবং রোবোটিক্সের মতো ক্ষেত্রগুলিতে দারুণ সুযোগ রয়েছে। ডিজিটাল রূপান্তরের এই যুগে কোম্পানিগুলির প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের ব্যাপক প্রয়োজন।
আমেরিকা এবং ইউরোপে কম্পিউটার সায়েন্স স্নাতকদের গড়ে বার্ষিক 90,000 ডলার পর্যন্ত প্যাকেজ দেওয়া হয়। ভারত থেকে এই কোর্স করা শিক্ষার্থীদেরও আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলিতে চাহিদা বেড়েছে।
৩. বিজনেস ম্যানেজমেন্ট
যদি আপনি নেতৃত্ব দিতে, কৌশল তৈরি করতে এবং দল পরিচালনা করতে পছন্দ করেন, তবে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট বা এমবিএ আপনার জন্য সঠিক পথ। এমবিএ করার পর আপনি অ্যামাজন, গুগল, মাইক্রোসফট এবং মেটার মতো কোম্পানিগুলিতে ম্যানেজমেন্টের ভূমিকা পেতে পারেন।
বিদেশে এমবিএ এবং বিবিএ-এর মতো কোর্সগুলি শুধুমাত্র বিশ্বব্যাপী এক্সপোজারই দেয় না, বরং আপনার নেতৃত্ব এবং বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতাকেও শক্তিশালী করে তোলে। এমবিএ স্নাতকদের গড় বেতন 1 লক্ষ ডলারের বেশি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
৪. আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং ডেটা সায়েন্স
বিশ্ব দ্রুত এআই-এর দিকে এগিয়ে চলেছে। ব্যাঙ্কিং, হেলথকেয়ার, শিক্ষা এবং মার্কেটিং—প্রতিটি ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং ডেটা অ্যানালিটিক্সের ভূমিকা বেড়েছে। এই ক্ষেত্রে কর্মজীবন গড়তে আগ্রহী তরুণদের জন্য সুযোগ ক্রমাগত বাড়ছে।
এআই এবং ডেটা সায়েন্স স্নাতকদের প্রাথমিক বেতনই বার্ষিক 10 থেকে 20 লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়। আগামী বছরগুলিতে এর চাহিদা আরও দ্রুত বাড়বে, কারণ কোম্পানিগুলি প্রতিটি কাজকে ডেটা-নির্ভর করতে চায়।
৫. ইঞ্জিনিয়ারিং
ইঞ্জিনিয়ারিং সবসময়ই তরুণদের পছন্দের ক্ষেত্র। আজও এটি সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য কর্মজীবনের বিকল্পগুলির মধ্যে একটি। কেমিক্যাল, পেট্রোলিয়াম, ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার সায়েন্স এবং অ্যারোস্পেসের মতো শাখায় চমৎকার সুযোগ রয়েছে।
বিদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতকরা গবেষণা, ডিজাইন এবং টেকনিক্যাল কনসাল্টিংয়ের মতো চাকরিতে বড় সম্ভাবনা পান। ইউকে, কানাডা এবং জার্মানির মতো দেশগুলিতে ইঞ্জিনিয়ারদের প্রাথমিক বেতন 60,000 ডলারের বেশি হয়।













