মুম্বই মহানগরपालिका (বিএমসি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে তৎপরতা বেড়ে গেছে। এই নির্বাচন শুধুমাত্র স্থানীয় উন্নয়নের নিরিখে নয়, রাজ্যের রাজনৈতিক দিক নির্ধারণের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
BMC Election 2025: মুম্বই মহানগরपालिका (বিএমসি) নির্বাচন ২০২৫-এর কাছাকাছি আসতেই মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। একদিকে যেখানে উদ্ধব ঠাকরে ও রাজ ঠাকরের সম্ভাব্য জোট বিরোধী শক্তিকে শক্তিশালী করছে, वहीं सत्ता पक्ष की महायुति – जिसमें शामिल हैं भाजपा (BJP), একनाथ शिंदे गुट, और अजित पवार गुट – ने 'नो रिस्क' नीति अपनाकर बड़ा दांव चला है।
মুম্বইতে শিবসেনার কয়েক দশক ধরে শক্তিশালী ঘাঁটি রয়েছে। কিন্তু এইবার নির্বাচনী ময়দানে ঠাকরে ভাইদের একত্রিত হওয়ার খবরে মহাযুতি সতর্ক হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপি ও তার সহযোগী দলগুলি ভোটের বিভাজন এড়াতে সম্মিলিত কৌশল তৈরি করেছে, যাতে ঠাকরে শিবির কোনোভাবেই নির্বাচনী সুবিধা না পায়।
মহাযুতির 'নো রিস্ক' কৌশল কী?
মহাযুতির এই কৌশল মূলত ভোট বিভাজন থেকে রক্ষা করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। যদি বিজেপি, শিন্ডে গোষ্ঠী এবং অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী আলাদাভাবে নির্বাচন করত, তাহলে বিরোধী জোট - বিশেষ করে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা (ইউবিটি) এবং রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) - সুবিধা পেতে পারত। এই বিপদ আঁচ করে মহাযুতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা মুম্বই ও অন্যান্য প্রধান নগর নিগমগুলিতে একসঙ্গে নির্বাচন করবে, যাতে ভোটব্যাঙ্ক শক্তিশালী থাকে এবং বিরোধী ঢেউ আটকানো যায়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী এক মাসের মধ্যে মহাযুতি প্রতিটি ওয়ার্ডে সমন্বয় করে প্রার্থীদের নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করবে। পাশাপাশি, স্থানীয় নেতা ও বিধায়কদের তাঁদের জ্ঞান ও প্রভাবের ভিত্তিতে দায়িত্ব দেওয়া হবে। মুম্বইয়ের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক ও তাঁদের কর্মীরা জনগণের মধ্যে গিয়ে সরকারের সাফল্য তুলে ধরবেন এবং মহাযুতির নীতি প্রচার করবেন।
বিজেপির পরিকল্পনা: ময়দানে নামবেন শক্তিশালী বিধায়করা
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সভাপতিত্বে মুম্বইতে বিজেপি বিধায়কদের একটি বৈঠক হয়, যেখানে তিনি নেতাদের তাঁদের নিজ নিজ এলাকার পাঁচটি অগ্রাধিকারের তালিকা জমা দিতে নির্দেশ দেন। এই কাজগুলি সরকার দ্রুত সম্পন্ন করবে, যাতে স্থানীয় উন্নয়নের মাধ্যমে ভোটারদের প্রভাবিত করা যায়। ফড়নবিস স্পষ্ট জানিয়েছেন যে ঠাকরে ভাইদের একত্রিত হওয়া নিয়ে মহাযুতির উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই, কারণ মারাঠি ও অ-মারাঠি ভোটের মেরুকরণের সুবিধা মহাযুতি নিজেই পেতে পারে।
গণেশোৎসবে জনসংযোগের পরিকল্পনা
মুম্বইয়ের উৎসবগুলি মাথায় রেখে মহাযুতি গণেশ উৎসব ও দহি-হান্ডির মতো উৎসবের রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। কোঙ্কন অঞ্চলের ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর জন্য গণেশোৎসবের সময় মুম্বই ও কোঙ্কনের মধ্যে বিনামূল্যে বিশেষ রেল ও বাস পরিষেবা চালু করার চিন্তা করা হচ্ছে। এতে মহাযুতির 'জনগণের সঙ্গে' এই ভাবমূর্তি আরও জোরালো হবে।
পাশাপাশি, স্থানীয় গোবিন্দা দল ও সর্বজনীন গণেশ মণ্ডলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কৌশল তৈরি করা হচ্ছে, যাতে যুব ও মারাঠি ভোটারদের মধ্যে নিজেদের প্রভাব আরও দৃঢ় করা যায়।
শিবসেনা (ইউবিটি) ও এমএনএস-এর সম্ভাব্য জোট: বিরোধীদের শক্তি
উদ্ধব ঠাকরে ও রাজ ঠাকরের একসঙ্গে আসার জল্পনা বিরোধী শিবিরে নতুন উদ্যম এনেছে। মারাঠি ভোটারদের মধ্যে তাঁদের গভীর প্রভাব রয়েছে, এবং যদি দুটি দল একসঙ্গে আসে, তাহলে বিএমসি নির্বাচনে একটি বড় সমীকরণ পরিবর্তন হতে পারে। যদিও, মহাযুতি এই সম্ভাব্য জোট নিয়ে চিন্তিত, তবে তাদের বিশ্বাস, সম্মিলিত কৌশল নিয়ে নির্বাচন করলে মূল ভোটব্যাঙ্ক সুরক্ষিত রেখে বিরোধীদের আটকানো যেতে পারে।
বিএমসি শুধু মুম্বইয়ের পৌরসভা নয়, এটি এশিয়ার বৃহত্তম সিভিক বডি, যার বার্ষিক বাজেট অনেক রাজ্যের চেয়েও বেশি। তাই এই নির্বাচন শুধু স্থানীয় সমস্যাগুলির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি রাজনৈতিক শক্তি ও জনসমর্থনের পরীক্ষাও বটে।