কলকাতা হাইকোর্ট: কুড়মি আন্দোলনের গ্রেফতারের আগে আদালতের অনুমতি বাধ্যতামূলক

কলকাতা হাইকোর্ট: কুড়মি আন্দোলনের গ্রেফতারের আগে আদালতের অনুমতি বাধ্যতামূলক

কলকাতা: কুড়মি সম্প্রদায়ের সদস্যরা নিজেদের এসএসসি নথিভুক্ত করার দাবিতে লাগাতার বিক্ষোভ চালাচ্ছেন। রেল রোকো থেকে রাস্তা অবরোধ, বিভিন্ন আন্দোলন — সবকিছুই পরিচালিত হচ্ছে তাদের পক্ষ থেকে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্ট মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছে, নতুন কোনো গ্রেফতারের আগে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।

কেন নির্দেশ জরুরি হল?

আদিবাসী কুড়মি আন্দোলনের মধ্যে কিছু গ্রেফতারের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, আদালতের নির্দেশের পরও বাড়িতে গিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে আন্দোলনকারীদের। আদালত স্পষ্ট করে বলেছে, নতুন পদক্ষেপ বা গ্রেফতারের আগে পুলিশকে অনুমতি নিতে হবে।

আন্দোলনের পটভূমি:

২০ সেপ্টেম্বর কুড়মি সম্প্রদায় জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জেলায় আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল। পুজোর সময়ও তারা ‘রেল টেকা’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল। কুড়মি নেতাদের দাবি, তারা সমস্ত দফতরে চিঠি দিয়েছিলেন, কিন্তু রাজ্য বা কেন্দ্র সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি। আন্দোলনের সময় পুরুলিয়ার কোটশিলা স্টেশন এলাকায় বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। পুলিশ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আদালতের নির্দেশের প্রভাব:

বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, নতুন গ্রেফতারের আগে অবশ্যই আদালতের অনুমতি নিতে হবে। এটি কুড়মি আন্দোলনের প্রতি নজরদারি বাড়াবে এবং পুলিশকে সঠিক আইনগত কাঠামোতে কাজ করতে বাধ্য করবে।

ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ:

রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। আদালতের সিদ্ধান্ত কেবল কুড়মি সম্প্রদায়ের জন্য নয়, ভবিষ্যতে অনুরূপ আন্দোলন ও গ্রেফতারের ক্ষেত্রে এক ধরনের মানদণ্ড স্থাপন করবে।

কলকাতা: আদিবাসী কুড়মি সম্প্রদায়ের আন্দোলন ও গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, গ্রেফতারের আগে আদালতের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। আদালতের নির্দেশে নতুন পদক্ষেপের আগে পুলিশকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

Leave a comment