এই ১০ খাবার খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে, সতর্ক থাকুন!

এই ১০ খাবার খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে, সতর্ক থাকুন!

Food to cause Cancer:ক্যানসার নিরাময়যোগ্য রোগ হলেও প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা কঠিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে এমন কিছু জিনিস রয়েছে যা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা জানাচ্ছেন, “অনিয়ন্ত্রিত চিনি, সোডা, প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং জিএমও খাদ্য শরীরের কোষগুলিকে প্রভাবিত করে এবং ক্যানসারের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে।

পরিশোধিত চিনি ও মিষ্টি:

সাদা চিনি সরাসরি ক্যানসার সৃষ্টি না করলেও এটি শরীরে ইনসুলিন বৃদ্ধি করে এবং কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর ফলে কোষ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়, যা ক্যানসার কোষের জন্মদাতা হিসেবে কাজ করে।

কৃত্রিম মিষ্টি ও সোডা:

অ্যাসপার্টেম, স্যাকারিন, ক্যারামেল রঙ 4-MEI ইত্যাদি কেমিক্যাল শরীরের প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে ব্যাহত করে। অতিরিক্ত সোডা বা কৃত্রিম মিষ্টি ব্যবহারে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।

প্রক্রিয়াজাত মাংস ও মাইক্রোওয়েভ খাবার:

সসেজ, বেকন, সালামি প্রভৃতি প্রক্রিয়াজাত মাংসে নাইট্রেট এবং নাইট্রাইট থাকে। রান্নার সময় এগুলো নাইট্রোসামিনে পরিণত হয়ে শরীরের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। মাইক্রোওয়েভে প্যাকেজড খাবারে প্রিজারভেটিভ ও রাসায়নিক ব্যবহারের কারণে ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পায়।

প্লাস্টিক, জিএমও ও চাষকৃত সামুদ্রিক খাবার:

BPA, গ্লাইফোসেট এবং চাষকৃত মাছের অ্যান্টিবায়োটিক বা কৃত্রিম রঙ শরীরের হরমোন ভারসাম্যকে ব্যাহত করে। এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব স্তন, প্রোস্টেট এবং অন্যান্য ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।

অতিরিক্ত অ্যালকোহল ও অ-জৈব দুগ্ধজাত পণ্য:

WHO এর মতে, অ্যালকোহল সরাসরি কার্সিনোজেন। অ-জৈব দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যে হরমোন ও অ্যান্টিবায়োটিক থাকায় হরমোন-নির্ভর ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।

সতর্কতা ও প্রতিরোধ:

দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য কমানো।

জিএমও ও চাষকৃত সামুদ্রিক খাবার সীমিতভাবে গ্রহণ।

নিয়মিত ফল, শাক-সবজি ও পুষ্টিকর খাবারের ব্যবহার।

অ্যালকোহল ও ধূমপান এড়ানো।

ক্যানসার আজও বিশ্বজুড়ে একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে কিছু সাধারণ খাবারও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। পরিশোধিত চিনি, সোডা, প্রক্রিয়াজাত মাংস, জিএমও খাদ্য এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল – এই ধরনের খাদ্যাভ্যাস শরীরকে কর্কট রোগের দিকে ঠেলে দিতে পারে। সতর্কতা অবলম্বন করলে ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

Leave a comment