চাণক্য নীতি অনুসারে চারটি ভাল অভ্যাস জীবনের সমস্ত দুঃখ দূর করতে পারে। দান করলে দারিদ্র্য দূর হয়, ভালো আচরণে কষ্ট দূর হয়, প্রজ্ঞা মূর্খতা দূর করে এবং ঈশ্বর ভক্তি ভয়কে শেষ করে। এই অভ্যাসগুলো গ্রহণ করে মানুষ সফল, সুখী ও মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে পারে।
Chanakya Niti: চাণক্য তাঁর শ্লোকে চারটি অভ্যাসের কথা উল্লেখ করেছেন যা জীবনকে সুখী ও সফল করে তোলে। দান করলে দারিদ্র্য দূর হয়, উত্তম শীল (চরিত্র) জীবনের দুর্গতি দূর করে, প্রজ্ঞা অজ্ঞানতা নাশ করে এবং খাঁটি ভক্তি ও ইতিবাচক ভাবনা সব ধরনের ভয় দূর করে। আচার্য চাণক্যের এই শিক্ষা আজও চরিত্র গঠন, সাফল্য এবং মানসিক ভারসাম্যের জন্য পথপ্রদর্শক।
চারটি প্রধান অভ্যাস যা জীবনকে বদলে দেয়
চাণক্য তাঁর একটি শ্লোকে চারটি অভ্যাসের কথা উল্লেখ করেছেন যা সব ধরনের দুঃখের অবসান ঘটাতে পারে। এই অভ্যাসগুলো হল- দান, শীল, প্রজ্ঞা এবং ভাবনা। শ্লোকটি এইরকম-
'দারিদ্র্যনাশনং দানং শীलं दुर्गतिनाशनम्। अज्ञाननाशिनी प्रज्ञा भावना भयनाशिनी।'
এর অর্থ হল দান করলে দারিদ্র্য দূর হয়, ভালো আচরণে দুর্গতি দূর হয়, বুদ্ধি অজ্ঞানকে নাশ করে এবং খাঁটি ভাবনা ভয়কে পরাজিত করে।
দান: দারিদ্র্যের বিনাশ
চাণক্যের মতে দানের গুরুত্ব অপরিসীম। নিয়মিত দান করলে শুধু গরিবদের সাহায্য হয় না, বরং ব্যক্তির ঘর থেকে দারিদ্র্য এবং অভাবও দূর হয়। দান করা শুধু টাকা বা জিনিস দেওয়া পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়, বরং সময়, জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়াও দানের অন্তর্ভুক্ত। চাণক্য মনে করেন যে দানকারী ব্যক্তি সামাজিক সম্মান এবং লক্ষ্মীর কৃপা উভয়ই লাভ করেন।
শীল: জীবনের দুর্গতিকে समाप्त করে
শিষ্টাচার, ভালো সংস্কার এবং নৈতিকতাকে চাণক্য শীল বলেছেন। জীবনে উত্তম শীল থাকলে ব্যক্তি সমাজে সম্মানিত হন এবং যেকোনো ধরনের দুর্গতি বা সংকট থেকে সুরক্ষিত থাকেন। শীলবান ব্যক্তি শুধু অন্যদের জন্য আদর্শ হন না, বরং নিজেও মানসিকভাবে এবং আবেগিকভাবে ভারসাম্যপূর্ণ থাকেন।
প্রজ্ঞা: অজ্ঞানের বিনাশ
জ্ঞান এবং বিবেক, যাকে চাণক্য প্রজ্ঞা বলেন, অজ্ঞানতা এবং মূর্খতাকে দূর করে। ব্যক্তি যখন সঠিক বিবেক এবং গভীর জ্ঞান দিয়ে সজ্জিত হন, তখন জীবনের সমস্যাগুলি সহজেই মোকাবেলা করতে পারেন। প্রজ্ঞা দিয়ে ব্যক্তি কেবল বুদ্ধিমান হন না, বরং সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হন এবং জীবনে স্থিতিশীলতা অর্জন করেন।
ভাবনা: ভয় और नकारात्मकता को हराती है
খাঁটি ভাবনায় শ্রদ্ধা, ভক্তি, বিশ্বাস এবং ইতিবাচক চিন্তা অন্তর্ভুক্ত। চাণক্য মনে করেন যে এই ভাবনার মাধ্যমে সব ধরনের ভয়, চিন্তা ও মানসিক অশান্তি দূর হয়। আবেগপূর্ণ ভারসাম্য এবং ইতিবাচক চিন্তা দিয়ে ব্যক্তি কেবল নিজের জন্য নয়, তার পরিবার এবং সমাজের জন্যও অনুপ্রেরণা হন।
চারটি অভ্যাসের संगम
যখন ব্যক্তি এই চারটি অভ্যাস- দান, শীল, প্রজ্ঞা এবং ভাবনা - নিজের জীবনে গ্রহণ করেন, তখন তার জীবন সফল, ভারসাম্যপূর্ণ এবং সুখী হয়ে ওঠে। এই অভ্যাসগুলি কেবল ব্যক্তিগত বিকাশে সহায়তা করে না, সমাজ এবং সম্প্রদায়ের জন্যও উপকারী প্রমাণিত হয়।
দানের মাধ্যমে সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করা হয়। শীলের মাধ্যমে নৈতিকতা এবং সংস্কার শক্তিশালী হয়। প্রজ্ঞা থেকে বুদ্ধি এবং বিবেক বৃদ্ধি পায়। ভাবনা থেকে মানসিক শান্তি এবং আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়। এই চারটি অভ্যাসের संगम ব্যক্তিকে জীবনের कठिनाइयों से लड़ने में सक्षम बनाता है।