পাটনায় চন্দন মিশ্র হত্যাকাণ্ড: পশ্চিমবঙ্গ থেকে শেরু সিং গ্যাংয়ের শুটার গ্রেফতার

পাটনায় চন্দন মিশ্র হত্যাকাণ্ড: পশ্চিমবঙ্গ থেকে শেরু সিং গ্যাংয়ের শুটার গ্রেফতার

বিহারের রাজধানীতে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চন্দন মিশ্র হত্যাকাণ্ডে পাটনা পুলিশ এবং এসটিএফ (STF) বড় সাফল্য পেয়েছে। পুলিশের যৌথ দল এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় জড়িত শেরু সিং গ্যাংয়ের শুটারদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার করেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত পাটনা পুলিশের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি, তবে সূত্রের খবর, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এই গ্রেফতার করা হয়েছে।

পারাস হাসপাতালে খুন

বক্সারের কুখ্যাত অপরাধী চন্দন মিশ্রকে ৫ জুন পাটনার অভিজাত এলাকা পারাস হাসপাতালে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, অস্ত্রধারী পাঁচজন শুটার হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি করে চন্দনকে হত্যা করে। এই ঘটনার পর পুরো পাটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ লাগাতার তল্লাশি চালায় এবং ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে এসটিএফ-কে তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তদন্ত চলাকালীন পুলিশ শেরু সিং গ্যাংয়ের জড়িত থাকার প্রমাণ পায়। এরপর পুলিশ পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলে বন্দী শেরু সিংয়ের নেটওয়ার্ক ট্রেস করে এবং সেখানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।

পুরোনো শত্রুতার জেরেই খুন

এডিজি (সদর দপ্তর) কুন্দন কৃষ্ণন সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে চন্দন মিশ্রকে শেরু সিংয়ের লোকেরা হত্যা করেছে। তথ্য অনুযায়ী, চন্দন এবং শেরু আগে সহযোগী অপরাধী ছিল এবং তারা দুজনে একসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে অপরাধ করত। কিন্তু কয়েক বছর আগে একটি হত্যা মামলা নিয়ে তাদের মধ্যে শত্রুতা হয়, এরপর শেরু চন্দনের উপর প্রতিশোধ নেয়।

এডিজি আরও জানান যে ২০১১ সালে বক্সারে দুজনের গ্যাং খুবই সক্রিয় ছিল। ২০১৭ সালে রাজেন্দ্র কেশরী হত্যা মামলায় দুজনেই আদালতের কাছ থেকে শাস্তি পেয়েছিল। শেরু সিং একবার জেল থেকে পালিয়েও গিয়েছিল এবং আরা-র তনিষ্ক জুয়েলারি লুটের ঘটনাতেও তার নাম উঠে এসেছিল।

শীঘ্রই সরকারি ঘোষণা করা হবে

পশ্চিমবঙ্গ থেকে মোট কতজন অভিযুক্তকে ধরা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং শীঘ্রই এই অভিযান নিয়ে সরকারি তথ্য জানানো হবে। যারা শুটারদের অস্ত্র, যানবাহন এবং আশ্রয় দিয়েছে, তাদেরও শনাক্ত করা হচ্ছে এবং তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রস্তুতি চলছে।

Leave a comment