ছাঙ্গুর বাবার ধর্মান্তরকরণ চক্রের পর্দাফাঁস: দেশজুড়ে ভুক্তভোগীরা

ছাঙ্গুর বাবার ধর্মান্তরকরণ চক্রের পর্দাফাঁস: দেশজুড়ে ভুক্তভোগীরা

ছাঙ্গুর বাবার ধর্মান্তরকরণ চক্রের বড়সড় পর্দাফাঁস হয়েছে। দেশজুড়ে বহু ভুক্তভোগী সামনে আসছেন। মেয়েদের ভুলিয়ে ভালিয়ে ধর্ম পরিবর্তন করানো হয়েছে এবং হিন্দুদের জমি দখল করা হয়েছে।

Chhangur Baba: উত্তর প্রদেশ থেকে মুম্বাই এবং কর্ণাটক পর্যন্ত বিস্তৃত ধর্মান্তরকরণ চক্রের মূল পান্ডা জামালউদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুর বাবা এখন আইনের জালে বন্দি, কিন্তু তার কুকীর্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখনও বিচারের জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। মেয়েদের ধর্মান্তরকরণ, হিন্দুদের দেশত্যাগ এবং জমির ওপর অবৈধ দখলের মতো ঘটনা এই চক্রের ষড়যন্ত্রগুলো প্রকাশ করে।

ছাঙ্গুর বাবা গ্রেফতার হওয়ার পর ধর্মান্তরকরণ চক্রের জাল উন্মোচিত

ধর্মান্তরকরণ চক্রের মূল পান্ডা জামালউদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুর বাবাকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও তার অপরাধের তালিকা ক্রমশ বাড়ছে। এই গ্রেফতারের খবর সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই দেশজুড়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এগিয়ে আসতে শুরু করেছে। উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং অন্যান্য রাজ্য থেকে রিপোর্ট আসছে, যা এই চক্রের বিস্তারকে প্রমাণ করে।

প্রয়াগরাজ কুম্ভ মেলা থেকে বোন নিখোঁজ

গোন্ডা নিবাসী অনিল সোনির ২০ বছর বয়সী বোন রূপালী ফেব্রুয়ারী মাসে প্রয়াগরাজ কুম্ভ মেলায় স্নান করতে গিয়েছিল, কিন্তু আর ফিরে আসেনি। অনিলের অভিযোগ, পাশের গ্রামের শাহাবুদ্দিন আনসারী তার বোনকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ভাগিয়ে নিয়ে গেছে। শাহাবুদ্দিন, ছাঙ্গুর বাবার ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে জানা গেছে। অনিল আজও জানে না তার বোন বেঁচে আছে কিনা।

কর্ণাটক থেকে চেনারামের ভাগ্নী নিখোঁজ, পরিবার স্তম্ভিত

আরও একটি ঘটনা কর্ণাটক থেকে সামনে এসেছে, যেখানে চেনারামের ১৯ বছর বয়সী ভাগ্নী হঠাৎ করে বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়। তদন্তে জানা গেছে যে মুরাদাবাদের মুবারক আলী তাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে গেছে। এই ব্যক্তিও ছাঙ্গুর বাবার নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়ের ধর্মান্তরকরণ করা হয়েছে।

হিন্দু সমাজকে নিশানা বানানোর ষড়যন্ত্র

ইউপি এসটিএফ-এর তদন্তে এটা সামনে এসেছে যে ছাঙ্গুর বাবার নেটওয়ার্ক পরিকল্পিতভাবে হিন্দু সমাজের বিরুদ্ধে কাজ করছিল। এই চক্রের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ধর্মান্তরকরণ নয়, সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট করাও ছিল।

মুম্বাইয়ে হিন্দু পরিবারগুলোর দেশত্যাগ, জমির দখল

মহারাষ্ট্রে এই নেটওয়ার্কের প্রভাব প্রথম মুম্বাইয়ের সাকিনাকা এলাকায় দেখা যায়। বলিউড কোরিওগ্রাফার বালাজি সাভারকারের অভিযোগ, তাদের পৈতৃক বাড়ি এবং জমি ছাঙ্গুর বাবার গুন্ডারা দখল করে নিয়েছে। তিনি জানান, এই এলাকা থেকে বহু হিন্দু পরিবারকে বাধ্য হয়ে দেশত্যাগ করতে হয়েছে। সরকারকে বহুবার চিঠি লিখেও কোনো সুরাহা হয়নি।

বিশ্ব হিন্দু রক্ষা পরিষদ-এর কাছে আসছে অসংখ্য অভিযোগ

ছাঙ্গুর বাবা এবং তার চক্রের বিরুদ্ধে এখন বহু মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছে। বিশ্ব হিন্দু রক্ষা পরিষদের কার্যালয়ে প্রতিদিন অসংখ্য অভিযোগ আসছে। অনেক ভুক্তভোগী নিজে এসে অফিসে অভিযোগ দায়ের করছেন। এটা প্রমাণ করে যে এই নেটওয়ার্ক কত বড় அளவில் সক্রিয় ছিল।

Leave a comment