চীন-তাইওয়ান যুদ্ধ: জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে আমেরিকার জবাব চাওয়া

চীন-তাইওয়ান যুদ্ধ: জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে আমেরিকার জবাব চাওয়া

আমেরিকা চীন-তাইওয়ান যুদ্ধের আশঙ্কা নিয়ে জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে জবাব চেয়েছে। ভারত থেকে আপাতত কোনো প্রশ্ন করা হয়নি, তবে ভবিষ্যতে চাপ বাড়তে পারে।

তাইওয়ান-চীন সংঘাত: ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন চীন-তাইওয়ান বিতর্ক নিয়ে তার প্রধান সহযোগী দেশ জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছে। যদি চীন তাইওয়ানের উপর সামরিক হামলা চালায়, তাহলে এই পরিস্থিতিতে আপনাদের ভূমিকা কী হবে? ফিনান্সিয়াল টাইমস-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আমেরিকা এটা স্পষ্ট করতে চাইছে যে ভবিষ্যতে কোনো সামরিক সংঘাতের পরিস্থিতিতে তার সহযোগী দেশগুলি কোন পক্ষে দাঁড়াবে।

জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে জবাব চাওয়ায় অস্বস্তি

প্রতিবেদন অনুসারে, আমেরিকার পক্ষ থেকে এই প্রশ্নটি প্রতিরক্ষা নীতির উপ-সচিব এলব্রিজ কোলবি জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় উত্থাপন করেন। এই পদক্ষেপ চীনকে কড়া বার্তা দেওয়ার চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও, এই প্রশ্নটি উভয় দেশের জন্য অস্বস্তিকর ছিল, কারণ আমেরিকা এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট করেনি যে তাইওয়ানের উপর চীনের হামলার পরিস্থিতিতে তারা সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করবে কিনা।

আমেরিকার কৌশল এবং সহযোগী দেশগুলির ভূমিকা

এলব্রিজ কোলবি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X (আগে Twitter) -এ বলেছেন যে আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগ রাষ্ট্রপতির 'America First' এজেন্ডার উপর কাজ করছে। এর মূল ফোকাস হল সহযোগীদের থেকে সম্মিলিত সুরক্ষায় আরও বেশি অংশগ্রহণের প্রত্যাশা করা এবং আঞ্চলিক প্রতিরোধকে শক্তিশালী করা।

তাইওয়ানের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক কেমন?

যদিও আমেরিকা ও তাইওয়ানের মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, তবে আমেরিকা তাইওয়ানকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। এই সহযোগিতা 'Taiwan Relations Act'-এর অধীনে হয়, যেখানে আমেরিকা তাইওয়ানের আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দেয়।

চীনের বিরুদ্ধে বার্তা নাকি বিভ্রান্তি?

কিছু বিশ্লেষকের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ চীনের প্রতি সতর্কবার্তা। কিন্তু জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ যদি কোনো স্পষ্ট অবস্থান না নেয়, তবে এটি বিপরীত ফল দিতে পারে। এর থেকে এমন ইঙ্গিতও যেতে পারে যে আমেরিকা এই ইস্যুতে একা হয়ে যেতে পারে।

জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার উদ্বেগগুলি কী?

জাপান ও অস্ট্রেলিয়া উভয় দেশই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অবস্থিত এবং চীনের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় আসে। এমন পরিস্থিতিতে কোনো সামরিক সংঘাতে জড়িত হওয়া তাদের জন্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে। যদিও উভয় দেশই আমেরিকার কৌশলগত সহযোগী, তবে তাইওয়ানের বিষয়ে সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ তাদের ঘোষিত নীতির অংশ নয়।

ভারতের অবস্থান কী?

ভারত আমেরিকার কৌশলগত অংশীদার, তবে কোনো আনুষ্ঠানিক সামরিক জোটের অংশ নয়। এখন পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসন ভারত থেকে এই বিষয়ে কোনো সরাসরি প্রশ্ন করেনি। তবে ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে সামরিক সংঘাত হলে, আমেরিকা ভারত থেকে অন্তত নৈতিক সমর্থন বা চীন-বিরোধী বিবৃতির প্রত্যাশা করতে পারে।

Leave a comment