তেজস্বী যাদবের প্রশ্ন: বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে বিতর্ক

তেজস্বী যাদবের প্রশ্ন: বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে বিতর্ক

তেজস্বী যাদব বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি নথি ছাড়া ফর্ম আপলোড, BLA-এর নিষ্ক্রিয়তা এবং নির্বাচন কমিশনের নীরবতা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ করেছেন।

পাটনা। বিহারে ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক শুরু হওয়া ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন (Special Summary Revision - SSR)-২০২৫ প্রক্রিয়া নিয়ে এবার রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন, এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণভাবে স্বচ্ছ নয় এবং এতে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে।

নথিপত্রে শিথিলতা সত্ত্বেও সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি নেই

তেজস্বী যাদব বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের পরেও নির্বাচন কমিশন এখনো কোনো সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি, যা নথিপত্রের ক্ষেত্রে নমনীয়তা আনতে পারে। তিনি প্রশ্ন করেছেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই কীভাবে এই প্রক্রিয়া চলছে। তার অভিযোগ, ভোটার তালিকায় নাম যোগ করা এবং বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। তেজস্বী আরও প্রশ্ন তুলেছেন, কতগুলি ফর্ম নথি ছাড়া আপলোড করা হয়েছে এবং সেগুলির বৈধতা কী?

অংশগ্রহণ ছাড়া আপলোডিং নিয়ে প্রশ্ন

তেজস্বী যাদব নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছেন, ভোটার তালিকায় যে পরিবর্তনগুলি আনা হচ্ছে, সেগুলি কি ভোটারের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ছাড়াই করা হচ্ছে? তিনি বলেন, যদি তাই হয়, তবে এটি সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এছাড়াও, তিনি জাল আপলোডিংয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, কমিশন এ বিষয়ে নীরবতা অবলম্বন করছে।

বিএলএ-কে কি পর্যবেক্ষণের ভূমিকা দেওয়া হচ্ছে?

নির্বাচন কমিশনের তরফে দাবি করা হয়েছে যে রাজনৈতিক দলগুলির এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে, তবে তেজস্বী যাদব এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন, বিএলএ (Booth Level Agent)-কে কি সত্যিই পর্যবেক্ষণের অধিকার দেওয়া হয়েছে, নাকি তাদের উপস্থিতি কেবল নথিভুক্ত করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে?

তেজস্বীর মতে, যদি বিএলএ-দের ভূমিকা কেবল প্রতীকী উপস্থিতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, তবে এটি নিছক লোকদেখানো অংশগ্রহণ, যা গণতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল করে।

বিরোধী দলের বিএলএ-দের কেন জানানো হয়নি?

তেজস্বী যাদব অভিযোগ করেছেন যে, অনেক জেলায় বিরোধী দলগুলির বিএলএ-দের এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে কোনো তথ্যই দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে বিরোধী দলগুলিকে ভোটার যাচাইকরণ প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হচ্ছে। এর ফলে ভোটার তালিকায় গড়বড় হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়।

বিএলও এবং ইআরও-দের উপর লক্ষ্যের চাপ?

আরেকটি গুরুতর অভিযোগ তুলে তেজস্বী যাদব বলেছেন যে, বিএলও (Booth Level Officer) এবং ইআরও (Electoral Registration Officer)-দের উপর ভোটার তালিকা পরিবর্তনের জন্য ৫০%-এর বেশি লক্ষ্য চাপানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, যদি এই কর্মকর্তাদের উপর এ ধরনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়, তবে স্বাভাবিকভাবেই তারা নাম যোগ বা বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করবেন, যার ফলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

Leave a comment