বিহারের ক্রমবর্ধমান অপরাধ নিয়ে সরব চিরাগ পাসোয়ান, নীতীশ সরকারের সমালোচনা

বিহারের ক্রমবর্ধমান অপরাধ নিয়ে সরব চিরাগ পাসোয়ান, নীতীশ সরকারের সমালোচনা

বিহারের ক্রমবর্ধমান অপরাধ নিয়ে রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস)-এর প্রধান চিরাগ পাসোয়ান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নীতীশ কুমার সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি শুধুমাত্র সাম্প্রতিক অপরাধমূলক ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাই নয়, বিহার পুলিশের এডিজি-র বিবৃতির প্রতিও তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

বর্ষার আগে অপরাধ বাড়ে

চিরাগ পাসোয়ান এডিজি-র সেই বিবৃতির কঠোর সমালোচনা করেছেন যেখানে তিনি বলেছিলেন যে বর্ষার আগে অপরাধের ঘটনা বেড়ে যায়। চিরাগ এই বিবৃতিকে প্রশাসনের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা বলে অভিহিত করে বলেন, এডিজি কীভাবে এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবৃতি দিতে পারেন? এটা বলা যে বর্ষার আগে অপরাধ বাড়ে, তা অন্নদাতাদের উপর সরাসরি অভিযোগ। আপনারা শুধু বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাই নয়, দায়িত্ব থেকে পালাচ্ছেন, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, যখন আধিকারিকরা এই ধরনের কথা বলবেন, তখন প্রশাসনের উপর জনগণের আস্থা কীভাবে বজায় থাকবে?

একটি ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন দায়ী

গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় চিরাগ সাম্প্রতিক দিনগুলিতে ঘটা অপরাধমূলক ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন যে বিহারে এই মুহূর্তে আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে পড়েছে। একের পর এক এমন অপরাধ ঘটছে, যা কেউ কল্পনাও করতে পারে না। যদি একটিও অপরাধমূলক ঘটনা ঘটে, তবে তার দায় প্রশাসনকে নিতে হবে।

তিনি বিরোধীদেরও নিশানা করে বলেন যে যারা জঙ্গলরাজের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারাই আজ আঙুল তুলছেন। চিরাগ ১৯৯৮ সালে পিএমসিএইচ-এ এক মন্ত্রীর হত্যার উল্লেখ করে প্রশ্ন করেন, সেই সময় কার সরকার ছিল? তখনও গুলি চলেছিল, এবং মন্ত্রী মারা গিয়েছিলেন। সেই সময়ের সরকারকে কী বলা হবে?

নীতীশ সরকারকে পরামর্শ

নীতীশ সরকারকে আইন-শৃঙ্খলা জোরদার করার পরামর্শ দিয়ে চিরাগ বলেন যে রাজ্য সরকারকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে বিহারের জনগণের মধ্যে নিরাপত্তার অনুভূতি ফিরে আসে। এটা শুধু পুলিশিং-এর বিষয় নয়, সরকারের অগ্রাধিকারের বিষয়ও বটে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক মোতিহারি रैली নিয়ে বিরোধীদের তোলা প্রশ্ন খারিজ করে চিরাগ বলেন যে প্রধানমন্ত্রী যখন রাজ্যে আসেন, তখন তিনি উন্নয়নের सौगात নিয়ে আসেন। তাঁর অগ্রাধিকার হল বিহারকে একটি উন্নত রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলা। আইন-শৃঙ্খলা রাজ্য সরকারের বিষয়, তাই এটা বলা যে প্রধানমন্ত্রীর কোনো চিন্তা নেই, তা সম্পূর্ণ ভুল এবং বিভ্রান্তিকর।

Leave a comment