দিল্লিতে কংগ্রেস সাংসদের চেইন ছিনতাই, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

দিল্লিতে কংগ্রেস সাংসদের চেইন ছিনতাই, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

রাজধানীতে ক্রমবর্ধমান অপরাধমূলক ঘটনার মধ্যে আরও একটি ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে তামিলনাড়ুর কংগ্রেস সাংসদ আর. সুধা রামকৃষ্ণণ সোমবার সকালে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। এই ঘটনা শুধুমাত্র রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন তোলে না, বরং এটিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়ে গেছে।

মর্নিং ওয়াকে বাইক আরোহী দুষ্কৃতীদের দ্বারা চেইন ছিনতাই

দিল্লির ভিআইপি এলাকা চাণক্যপুরীতে সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে, যখন কংগ্রেস সাংসদ আর. সুধা রামকৃষ্ণণ মর্নিং ওয়াকে বেরিয়েছিলেন এবং কিছু দূর যেতেই বাইক আরোহী দুষ্কৃতীরা তাঁর সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয়। এই ঘটনাটি তামিলনাড়ু ভবনের কাছে পোল্যান্ড দূতাবাসের নিকটে ঘটেছে। দুষ্কৃতীরা চেইন ছিনিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

সাংসদ নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু ধস্তাধস্তিতে তিনি বেশ কয়েক জায়গায় আঘাতও পান। ঘটনার পর রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা আবারও প্রশ্নের মুখে, বিশেষ করে যখন বিষয়টি একজন মহিলা সাংসদের সঙ্গে জড়িত।

পুলিশ মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থলের আশেপাশে লাগানো CCTV ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে যাতে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতার করা যায়। যদিও এখনও পর্যন্ত কারও গ্রেফতারির খবর নিশ্চিত করা হয়নি।

সাংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে চিঠি

মায়িলাদুথুরাই লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ আর. সুধা রামকৃষ্ণণ এই ঘটনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, কীভাবে সকালে প্রকাশ্য দিবালোকে রাজধানীর মাঝে দুষ্কৃতীরা তাঁর চেইন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন যে এই ঘটনায় তিনি শারীরিকভাবেও আঘাত পেয়েছেন। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন, যাতে দিল্লি পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, যাতে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করা যায় এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা আটকানো যায়। পাশাপাশি, তিনি রাজধানীতে সাধারণ নাগরিক, বিশেষ করে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে ठोस পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

আম আদমি পার্টির আক্রমণ

এই ঘটনা প্রসঙ্গে আম আদমি পার্টির নেতা এবং দিল্লি সরকারের মন্ত্রী সৌরভ भारद्वाज বিজেপি সরকার এবং রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'এক্স'-এ একটি পোস্ট শেয়ার করে লিখেছেন, দিল্লিতে চেইন ও মোবাইল ছিনতাই এত সাধারণ ঘটনা হয়ে গিয়েছে যে মানুষ এখন FIR পর্যন্ত দায়ের করে না। তাদের মনে হয় পুলিশ কিছু করবে না এবং শুধু সময় নষ্ট হবে।

भारद्वाज বলেছেন যে এই ঘটনা সকাল ৬টায় একজন মহিলা সাংসদের সঙ্গে ঘটেছে, যা এই ইঙ্গিত দেয় যে এখন রাজধানীতে কেউই নিরাপদ বোধ করে না, তা সে সাধারণ নাগরিক হোক বা জনপ্রতিনিধি। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে শেষ পর্যন্ত দিল্লির আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব কে নেবে?

পুলিশের রাজনৈতিকীকরণ হয়ে গেছে

আপ নেতা অভিযোগ করেছেন যে দিল্লি পুলিশে हजारों পদ খালি রয়েছে এবং কেন্দ্র সরকার সেগুলি পূরণ করতে রাজি নয়। তিনি বলেছেন যে যে পুলিশকর্মীরা ডিউটিতে রয়েছেন, তাঁরা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তে ভিআইপি নিরাপত্তা এবং আপ নেতাদের নিশানা বানানোর মতো রাজনৈতিক কাজে জড়িত।

भारद्वाज আরও বলেছেন যে দিল্লি পুলিশের মূল্যায়ন এখন তাদের सेवा कार्य দিয়ে হয় না, বরং রাজনৈতিক आदेशের अनुपालन দিয়ে হয়। इसी आधार पर তাদের পোস্টিং तय করা হয়, যা পুলিশের মূল দায়িত্ব থেকে সরে আসা।

যদি শান্তিতে বাঁচতে চান

দিল্লিতে মহিলাদের নিরাপত্তার অবনতি নিয়ে কটাক্ষ করে সৌরভ भारद्वाज বলেছেন যে এখন এখানকার মহিলারা মর্নিং ওয়াকে সোনার চেইন পরে বের হন না। তিনি লিখেছেন, যদি শান্তিতে বাঁচতে চান, তাহলে চেইন বাড়িতে রাখুন।

পাশাপাশি, তিনি বলেছেন যেহেতু আর. সুধা তামিলনাড়ুর সাংসদ, তাই তিনি দিল্লির নিরাপত্তা ব্যবস্থার আসল পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। কিন্তু এই ঘটনা তাঁকে দিল্লির বাস্তবতা সম্পর্কে অবগত করেছে।

প্রশ্নের घेरे राजधानी की सुरक्षा

এই ঘটনা এমন এক সময়ে সামনে এসেছে যখন দিল্লিতে আগে থেকেই लूटपाट, ছিনতাই এবং চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। মহিলা সাংসদের সঙ্গে হওয়া এই लूट শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে না, বরং সরকারের কার্যशैली और पुलिस की जवाबदेही पर भी गंभीर सवाल खड़े कर रही है। अब देखना होगा कि इस मामले में पुलिस कितनी तेजी से कार्रवाई करती है और दोषियों को कब तक पकड़ पाती 

Leave a comment