কর্ণী সেনা নেতা যোগেন্দ্র রাণা এসপি সাংসদ ইকরা হাসানের উপর বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পলাতক। এসপি প্রতিবাদ আরও জোরদার করেছে।
UP News: কর্ণী সেনার জাতীয় उपाध्यक्ष ঠাকুর যোগেন্দ্র রাণার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে তিনি এসপি সাংসদ ইকরা হাসানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার পাশাপাশি নিকাহ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এখন রাণার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তিনি পলাতক।
ইকরা হাসানের উপর করা মন্তব্য এবং ওয়াইসি ভাইদের প্রতি কটাক্ষ
যোগেন্দ্র রাণা ভিডিওতে কৈরাণার সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ইকরা হাসানের সঙ্গে নিকাহ করার কথা বলেন এবং এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি ও তাঁর ভাই আকবরুদ্দিন ওয়াইসিকেও নিশানা করেন। তিনি মন্তব্য করেন যে "যখন ওয়াইসি আমাকে ভগ্নিপতি বলবেন, তখন ভালো লাগবে"। এই বিবৃতি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যায় এবং ব্যাপক সমালোচনার কারণ হয়।
মহিলার অভিযোগ, পুলিশের মামলা দায়ের
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর মুরাদাবাদের কাটঘর থানা এলাকার এক মহিলা সুনীতা এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন যে এই ধরনের মন্তব্য মহিলাদের মর্যাদার বিরুদ্ধে এবং সমাজে ভুল বার্তা দেয়। এরপর পুলিশ রাণার বিরুদ্ধে আইটি আইনের ধারা ৬৭ এবং ৭৯, এবং আইপিসি-র ধারা ৩৫৪(২) (মহিলার সম্মানহানির চেষ্টা)-এর অধীনে এফআইআর দায়ের করেছে।
পলাতক যোগেন্দ্র রাণা, মোবাইলও বন্ধ
এফআইআর দায়ের হওয়ার পর থেকে যোগেন্দ্র রাণা পলাতক। তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ, যার কারণে পুলিশের পক্ষে তাঁর লোকেশন ট্র্যাক করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। পুলিশ উত্তর প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন জেলায় তল্লাশি চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনও সূত্র পাওয়া যায়নি, তবে পুলিশ কর্মকর্তারা আশা করছেন যে খুব শীঘ্রই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।
এসপি সিটির বক্তব্য
মুরাদাবাদের এসপি সিটি রণবিজয় সিং জানিয়েছেন যে রাণা যে মন্তব্য করেছেন, তা গুরুতর প্রকৃতির। তদন্ত যত এগোবে, প্রমাণের ভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভিডিওর সত্যতা এবং প্রযুক্তিগত দিকগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সমাজবাদী পার্টির অসন্তোষ প্রকাশ
এই পুরো ঘটনাকে সমাজবাদী পার্টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। পার্টির वरिष्ठ নেতা এবং বিধায়ক নবাব ইকবাল মাহমুদ বলেছেন যে এই ধরনের বিবৃতি সমাজে বিষ ছড়ায় এবং মহিলাদের মর্যাদার বিরুদ্ধে। তিনি রাণাকে 'লুচ্চা-লফঙ্গা' আখ্যা দিয়ে বলেন যে এই ধরনের মানুষের জায়গা কেবল জেলেই হতে পারে।
রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
এসপি নেতাদের অভিযোগ, এই ভিডিও কেবল ইকরা হাসানকে বদনাম করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়নি, বরং এর পিছনে একটি বড় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। তাঁদের বক্তব্য, এর উদ্দেশ্য সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ এবং সমাজে উত্তেজনা ছড়ানো।
পুলিশের সাইবার সেলও এই মামলায় সক্রিয় হয়েছে। ভাইরাল ভিডিওর প্রযুক্তিগত তদন্ত করা হচ্ছে, যাতে এর বাস্তবতা এবং প্রসারের উৎস খুঁজে বের করা যায়।
এসপি কর্মীদের বিক্ষোভ
সমাজবাদী পার্টির মহিলা শাখা এবং যুব উইং মুরাদাবাদ, সম্ভল, রামপুর এবং কুশিনগর সহ বেশ কয়েকটি জেলায় বিক্ষোভ শুরু করেছে। তারা অভিযুক্তের দ্রুত গ্রেফতারির দাবি জানাচ্ছে এবং স্থানীয় প্রশাসনকে স্মারকলিপি পেশ করেছে।