সুপ্রিম কোর্ট পথকুকুর সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যগুলির গাফিলতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। পশ্চিমবঙ্গ ও তেলেঙ্গানা ব্যতীত সমস্ত রাজ্যকে ৩ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নতুন দিল্লি: সুপ্রিম কোর্ট পথকুকুর (stray dogs) সংক্রান্ত বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গ এবং তেলেঙ্গানা ছাড়া সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য সচিবদের (Chief Secretaries) হলফনামা দাখিল না করায় তলব করেছে। আদালত দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি (national image) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সমস্ত আধিকারিকদের ৩ নভেম্বর আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
মামলায় আদালতের নির্দেশ
২২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে পথকুকুর সংক্রান্ত সম্মতিসূচক হলফনামা (compliance affidavit) দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। আদালত নিশ্চিত করতে চেয়েছিল যে রাজ্যগুলি এই বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং জননিরাপত্তা (public safety) এবং প্রাণী সুরক্ষাকে উভয়কেই গুরুত্ব দিচ্ছে।
তবে, আজকের শুনানিতে বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সন্দীপ মেহতা এবং বিচারপতি এনভি আঞ্জালিয়ার বেঞ্চ লক্ষ্য করেছে যে কেবল পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা এবং দিল্লি নগর নিগমই এই নির্দেশ মেনে চলেছে। বাকি সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলফনামা দাখিল করেনি।
দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি নিয়ে আদালতের উদ্বেগ
সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করেছে যে পথকুকুর সংক্রান্ত ঘটনার ক্রমাগত রিপোর্ট আসার ফলে দেশের ভাবমূর্তি (international image) অন্যান্য দেশের চোখে খারাপ হচ্ছে। বিচারপতি বিক্রম নাথ বলেছেন যে সংবাদ প্রতিবেদনগুলি পড়ে বোঝা যায় পরিস্থিতি গুরুতর। আদালত সমস্ত রাজ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছে যে তারা কেবল প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার জন্য নয়, বরং দেশের ভাবমূর্তি উন্নত করার জন্যও পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।
দিল্লি সরকারের কাছে প্রশ্ন
আদালত বিশেষভাবে দিল্লি সরকারকে প্রশ্ন করেছে যে তারা কেন হলফনামা দাখিল করেনি। বিচারপতি নাথ বলেছেন যে এনসিটি (NCT) এখনও পর্যন্ত হলফনামা দাখিল করেনি। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে যদি সময়মতো জবাব না আসে, তবে আদালত কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে এবং এর জন্য ব্যয়ও (cost) আরোপ করা হতে পারে।
সমস্ত রাজ্যকে ৩ নভেম্বর উপস্থিত থাকার নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত মুখ্য সচিবদের ৩ নভেম্বর আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। আদালত সতর্ক করে দিয়েছে যে যদি কোনো রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এই নির্দেশ মেনে না চলে, তবে আদালত কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে।













