প্রাকৃতিক সৌন্দর্য : নদীর ধারে অবস্থিত মানে ডারা প্রকৃতিকে যেন নিজ হাতে সাজানো। দূর পাহাড়ের সবুজ গালিচা, ঝরনার কলকল শব্দ এবং ভোরের সূর্যের প্রথম কিরণ মিলিয়ে এই স্থানটি দর্শনীয় হয়ে ওঠে। পরিষ্কার দিনে সিঙ্গালিলা পাহাড়শ্রেণির অপূর্ব দৃশ্য দেখা যায়। সন্ধ্যার পর আকাশ ভরে ওঠে অসংখ্য তারায়, যা জায়গার সৌন্দর্যকে আরও মায়াময় করে তোলে। এই নির্জন পরিবেশের মধ্যে বসে থাকলে শহরের ব্যস্ততা যেন একেবারে ভুলে যাওয়া যায়।
সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্ক
মানে ডারার কাছেই রয়েছে সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্ক, যা প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য এক স্বর্গসদৃশ স্থান। এখানে বিরল প্রাণী যেমন রেড পান্ডা, স্লো লোরিস এবং নানা প্রজাতির পাখি দেখা যায়। এছাড়া পাহাড়ি গ্রামগুলোর সহজ-সরল জীবনযাত্রা এবং স্থানীয় সংস্কৃতিও পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ।
ভ্রমণ ও যোগাযোগ
এনজেপি থেকে দূরত্ব: প্রায় ৭৪ কিলোমিটার
যাত্রার সময়: গাড়িতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা
ভাড়া:
ছোট গাড়ি প্রায় ৪,৫০০ টাকা
বড় গাড়ি প্রায় ৫,৫০০ টাকা
থাকার ব্যবস্থা
মানে ডারাতে পর্যটকদের জন্য রিসর্ট, হোমস্টে, টেন্ট এবং কটেজ রয়েছে।
টেন্টে থাকা-খাওয়া: দৈনিক প্রায় ১,৫০০ টাকা
কটেজ: দৈনিক প্রায় ২,০০০ টাকা
ছোট পরিবারের জন্য হোমস্টে সুবিধা খুবই উপযুক্ত। বড় পরিবারের জন্য রিসর্ট এবং কটেজে থাকা নিরাপদ এবং আরামদায়ক।
খাবার ও স্থানীয় সংস্কৃতি
মানে ডারার পাহাড়ি গ্রামে স্থানীয় খাবারের স্বাদ ভিন্ন। পাহাড়ি ভর্তা, চা, দার্জিলিংয়ের জনপ্রিয় খাবার এবং স্থানীয় মিষ্টি পর্যটকদের মুগ্ধ করে। পাহাড়ি গ্রামগুলোর সহজ-সরল জীবনযাত্রা এবং মানুষের আতিথেয়তা পর্যটকদের জন্য অভিজ্ঞতাকে আরও স্মরণীয় করে তোলে।
পর্যটন টিপস
শান্ত পরিবেশে সময় কাটান: ভিড় এড়িয়ে প্রকৃতির কোলে হাঁটতে পারেন।
ছবি তুলুন: ঝরনা, নদী, পাহাড় ও সূর্যোদয়/সূর্যাস্তের মুহূর্ত ছবি তোলার জন্য অনন্য।
ন্যাশনাল পার্ক ভ্রমণ: সকালে বা বিকেলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এবং প্রাণী দেখার সুযোগ মিস করবেন না।
পুজোর ছুটিতে যাওয়ার সময়: পূর্বে রিসর্ট বা হোমস্টে বুকিং করা বাঞ্ছনীয়।
পাহাড়, নদী এবং নির্জনতার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা মানে ডারা আজকের দিনে পর্যটকদের জন্য এক আদর্শ গন্তব্য। ভিড় থেকে দূরে, শান্ত পাহাড়ি পরিবেশে প্রকৃতির সঙ্গে একাকী সময় কাটাতে চাইলে পুজোর ছুটিতে মানে ডারা হতে পারে আপনার সেরা ভ্রমণগন্তব্য।