দিল্লি সরকারের নতুন উদ্যোগ হোয়াটসঅ্যাপ গভর্নেন্স-এর মাধ্যমে নাগরিকরা ঘরে বসেই ড্রাইভিং লাইসেন্স, ম্যারেজ সার্টিফিকেট, বার্থ সার্টিফিকেট এবং কাস্ট সার্টিফিকেট-এর মতো সরকারি পরিষেবাগুলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। AI-চালিত চ্যাটবটের মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়াটি সহজ, দ্রুত এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব হবে, যা মানুষকে সরকারি অফিসের ধর্না এবং দীর্ঘ লাইনের ঝামেলা থেকে মুক্তি দেবে।
WhatsApp Governance: দিল্লি সরকার শীঘ্রই হোয়াটসঅ্যাপে একটি নতুন চ্যাটবট চালু করতে চলেছে, যার মাধ্যমে নাগরিকরা ঘরে বসেই ড্রাইভিং লাইসেন্স, ম্যারেজ সার্টিফিকেট, বার্থ সার্টিফিকেট এবং কাস্ট সার্টিফিকেট-এর মতো সরকারি নথিগুলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই পরিষেবাটি হিন্দি এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই উপলব্ধ হবে এবং AI-চালিত চ্যাটবট পুরো প্রক্রিয়াটি স্বয়ংক্রিয় করবে। প্রাথমিকভাবে ২৫-৩০টি সরকারি পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তবে ভবিষ্যতে অন্যান্য বিভাগও যুক্ত হবে। এই ডিজিটাল উদ্যোগের ফলে সময় বাঁচবে, সরকারি অফিসের ধর্না শেষ হবে এবং দুর্নীতির উপরও নিয়ন্ত্রণ আসবে।
হোয়াটসঅ্যাপে তৈরি হবে এই ডকুমেন্টগুলি
নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, ম্যারেজ সার্টিফিকেট, কাস্ট সার্টিফিকেট, বার্থ সার্টিফিকেট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো অনেক সরকারি পরিষেবা হোয়াটসঅ্যাপে আনা হবে। নাগরিকরা সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এই নথিগুলির জন্য আবেদন করতে, সেগুলি যাচাই করতে এবং ডাউনলোড করতে পারবেন।
সরকারের মতে, এই ডিজিটাল প্রক্রিয়ার ফলে কেবল সরকারি কাজ দ্রুত হবে তাই নয়, দুর্নীতির ওপরও কার্যকরভাবে রাশ টানা যাবে। এর ফলে মানুষকে সরকারি দপ্তরগুলিতে ধর্না দিতে বা সময় নষ্ট করতে হবে না।
পরিষেবাটি কীভাবে কাজ করবে
হোয়াটসঅ্যাপ গভর্নেন্স প্ল্যাটফর্মে একটি AI-চালিত চ্যাটবট থাকবে, যা হিন্দি এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই কাজ করবে। এই চ্যাটবট ব্যবহারকারীদের সহায়তার পাশাপাশি পুরো পরিষেবাটি স্বয়ংক্রিয় করবে এবং সমস্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগের তথ্যও সরবরাহ করবে।
প্রাথমিকভাবে এই প্ল্যাটফর্মে ২৫-৩০টি সরকারি পরিষেবা যুক্ত করা হবে। ভবিষ্যতে অন্যান্য বিভাগও এতে শামিল হবে। উন্নত সমন্বয় এবং ডেটা অ্যাক্সেসের জন্য এটি দিল্লির ই-ডিস্ট্রিক্ট পোর্টালের সাথে সংযুক্ত করা হবে।
মানুষ কীভাবে ব্যবহার করবে
বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ গভর্নেন্স প্ল্যাটফর্মে কাজ চলছে এবং চালু হওয়ার তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। চালু হওয়ার পর ব্যবহারকারীরা চ্যাটবটকে “Hi” মেসেজ পাঠিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন। চ্যাটবট একটি ফর্ম দেবে, যা পূরণ করে এবং প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত করে আপলোড করতে হবে।
সরকারের মতে, পুরো প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব হবে, যার ফলে নাগরিকরা ঘরে বসেই সরকারি নথিগুলির জন্য আবেদন করতে পারবেন।