দিল্লিতে সড়ক দুর্ঘটনা এবং অপরাধমূলক ঘটনার শিকারদের এখন আরও দ্রুত ত্রাণ মিলবে। লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি.কে. সাক্সেনা একটি নতুন ব্যবস্থা অনুমোদন করেছেন, যার অধীনে এখন দিল্লির সমস্ত পুলিশ স্টেশন সরাসরি নিকটবর্তী হাসপাতালগুলির সঙ্গে যুক্ত হবে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল জরুরি পরিস্থিতিতে চিকিৎসা এবং আইনি পদক্ষেপের মধ্যেকার বিলম্ব দূর করা।
দুর্ঘটনা এবং অপরাধের পরিস্থিতিতে কমবে প্রতিক্রিয়া সময়
নতুন ব্যবস্থার অধীনে, রাজধানীর পুলিশ স্টেশনগুলিকে সেই হাসপাতালগুলির সঙ্গে যুক্ত করা হবে যেখানে মেডিকো-লিগ্যাল কেস (MLC) এবং পোস্টমর্টেম (PME)-এর মতো প্রক্রিয়াগুলি দ্রুত এবং আরও ভালোভাবে সম্পন্ন করা যেতে পারে। এর ফলে সড়ক দুর্ঘটনা, যৌন অপরাধ এবং অন্যান্য গুরুতর মামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা এবং বিচার বিভাগীয় সহায়তা মিলবে।
প্রশাসনের বক্তব্য হল, থানা এবং হাসপাতালগুলির মধ্যে নেটওয়ার্কিংকে সুসংহত ও সুবিন্যস্তভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে যে কোনও পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া সময় কম হয় এবং কার্যক্রম কার্যকরী হয়।
তিনটি নতুন আইনের অধীনে সংস্কার হচ্ছে
এই সম্পূর্ণ পরিকল্পনাটি সম্প্রতি কার্যকর হওয়া ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita - BNSS) ২০২৩-এর ধারা ১৯৪(৩)-এর অধীনে তৈরি করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ, স্বরাষ্ট্র বিভাগ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ (GNCTD) একসঙ্গে এই ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করেছে।
দিল্লি পুলিশ থানাগুলির জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলির একটি তালিকা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে জমা দিয়েছিল, যার পরে বিশেষজ্ঞ কমিটি সুপারিশ করে যে থানা ও হাসপাতালগুলির মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ থাকতে হবে। এর ফলে চিকিৎসায় বিলম্ব হবে না এবং MLC ও পোস্টমর্টেমের মতো আইনি প্রক্রিয়াগুলিও সময় মতো সম্পন্ন হবে।
স্বরাষ্ট্র বিভাগ এই প্রস্তাবের কার্যকারিতা এবং প্রভাবের মূল্যায়ন করেছে এবং আইন বিভাগ আইনি পর্যালোচনার পরে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর পরামর্শ দিয়েছে। এখন এটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করা হচ্ছে।
দিল্লি হবে স্বাস্থ্য-বিচার মডেল
এই উদ্যোগটি রাজধানীকে এমন একটি মডেলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে যেখানে স্বাস্থ্য ও আইন ব্যবস্থার সমন্বয় ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত ত্রাণ পেতে সাহায্য করবে। এই পদক্ষেপ পুলিশ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে সমন্বয়কে শক্তিশালী করবে এবং বিচার প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
