দিল্লিতে পশু অধিকার কর্মী এবং কুকুর প্রেমীরা বেওয়ারিশ কুকুরদের পুরনিগমের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, এই পদক্ষেপ হাজার হাজার কুকুরের জীবন বিপন্ন করতে পারে, কারণ আশ্রয়কেন্দ্রগুলি পর্যাপ্ত এবং নিরাপদ নয়। এদিকে, MCD বেওয়ারিশ কুকুরদের নির্বীজকরণ এবং টিকাকরণের ওপর জোর দিচ্ছে।
দিল্লি: রাজধানী দিল্লিতে রবিবার (17 অগাস্ট) পশু অধিকার কর্মী এবং কুকুর প্রেমীরা পুরনিগমের সেই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে মিছিল করেছেন, যেখানে বেওয়ারিশ কুকুরদের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এই বিক্ষোভ কনॉट প্লেস, রামলীলা ময়দান এবং পিতমপুরায় অনুষ্ঠিত হয়, যাতে প্রায় 300-400 জন অংশ নিয়েছিলেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আশ্রয়কেন্দ্রগুলি পর্যাপ্তও নয় এবং নিরাপদও নয়, যার ফলে কুকুরদের জীবন বিপন্ন হতে পারে। वहीं, एमसीडी-র বক্তব্য, বেওয়ারিশ কুকুরের সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য প্রতি মাসে 10,000-এর বেশি নির্বীজকরণ এবং টিকাকরণ করা হচ্ছে।
দিল্লিতে বেওয়ারিশ কুকুরদের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর প্রস্তাবে বিতর্ক
দিল্লিতে রবিবার (17 অগাস্ট) পশু অধিকার কর্মী এবং কুকুর প্রেমীরা পুরনিগম (MCD)-এর সেই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে জোরদার প্রতিবাদ জানিয়েছেন, যেখানে বেওয়ারিশ কুকুরদের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এই পদক্ষেপ হাজার হাজার কুকুরের জীবনকে বিপদের মুখে ঠেলে দেবে, কারণ দিল্লিতে যে আশ্রয়কেন্দ্রগুলি রয়েছে, সেগুলি অপ্রতুল এবং অসুরক্ষিত। তাঁরা এই পরিকল্পনা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন এবং বলেছেন, এটি পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতার শামিল।
রাজধানীতে একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ-प्रदर्शन
এই বিক্ষোভ কনॉट প্লেসের হনুমান মন্দির, রামলীলা ময়দান এবং পিতমপুরার প্যাসিফিক মল সহ একাধিক স্থানে হয়েছে। আয়োজকদের মতে, রামলীলা ময়দান থেকে মিছিলের মাধ্যমে এই বিক্ষোভের সূচনা হয়, যাকে দিল্লিতে পশু কল্যাণ সম্প্রদায়ের প্রথম বড় জমায়েত বলা হয়েছে। এই সময় প্রায় 300 থেকে 400 জন মানুষ অংশ নেন এবং তাঁরা কুকুরদের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর পরিকল্পনাকে অমানবিক বলে অভিহিত করেন।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, রাস্তায় বেড়ে ওঠা কুকুরদের জোর করে সরিয়ে দিলে তাদের জীবন সংকটে পড়বে। তাঁদের যুক্তি, পুরনিগমের কাছে পর্যাপ্ত সম্পদ নেই এবং নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রও নেই, এমন পরিস্থিতিতে এই প্রস্তাব বাস্তবসম্মত এবং মানবিক সমাধান হতে পারে না।
MCD-এর পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি
দিল্লি পুরনিগমের বক্তব্য, বেওয়ারিশ কুকুরের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই নতুন পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। এর অধীনে রাজধানীর সমস্ত 12টি অঞ্চলে আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হবে এবং একটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হবে, যেখানে মানুষ বেওয়ারিশ কুকুরদের বিষয়ে তথ্য দিতে পারবেন। আধিকারিকদের বিশ্বাস, এর ফলে সমস্যাগুলির ওপর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।
বর্তমানে MCD প্রতি মাসে প্রায় 10,000 বেওয়ারিশ কুকুরের নির্বীজকরণ এবং টিকাকরণ করাচ্ছে। এই কাজে অনেক NGO যুক্ত রয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও সংস্থাকে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে প্রক্রিয়া আরও দ্রুত করা যায় এবং রাস্তায় কুকুরের সংখ্যা কমানো যায়।
রেবিজের ভয় এবং বাড়তে থাকা উদ্বেগ
বেওয়ারিশ কুকুরদের সঙ্গে জড়িত আরও একটি বড় চিন্তা হল রেবিজ। এই রোগ 100% মারাত্মক বলে মনে করা হয় এবং সময় মতো চিকিৎসা না করালে প্রাণঘাতী হতে পারে। বিগত কয়েক মাসে কুকুরের কামড়ে ছোট শিশু এবং এক কাবাডি খেলোয়াড়ের মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে প্রতি বছর প্রায় 300 জন মানুষ রেবিজের কারণে প্রাণ হারান।
এই প্রেক্ষাপটে MCD-এর বক্তব্য, নির্বীজকরণ এবং টিকাকরণ অভিযানই সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হতে পারে। যদিও পশু অধিকার কর্মীদের বক্তব্য, শুধুমাত্র আশ্রয়কেন্দ্রের পরিকল্পনা দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না এবং এটি লাগু করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।