দিল্লিতে স্ত্রীর নৃশংস হত্যা, পরে স্বামীর আত্মহত্যা

দিল্লিতে স্ত্রীর নৃশংস হত্যা, পরে স্বামীর আত্মহত্যা

দিল্লির নাফ לגढ़ (Najafgarh) এলাকায় স্ত্রী রজনীকে গলা টিপে খুন করলেন স্বামী আমন। পরে আত্মহত্যার চেষ্টায় হাসপাতালে ভর্তি আমনেরও মৃত্যু হয়। দম্পতি গত চার মাস ধরে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন এবং তাদের মধ্যে পারিবারিক বিবাদ ক্রমশ বাড়ছিল।

নাফ לגढ़ (Najafgarh): দিল্লির দ্বারকা জেলার নাফ לגढ़ (Najafgarh) এলাকায় মঙ্গলবার সকালে আমন তার স্ত্রী রজনীকে গলা টিপে হত্যা করে। হত্যার পর আমন আত্মহত্যার চেষ্টা করে, কিন্তু ব্যর্থ হয় এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার তারও মৃত্যু হয়। দম্পতি গত চার মাস ধরে ওল্ড রোশনপুরা (Old Roshanpura) এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। প্রাথমিক শান্তি বিঘ্নিত করে তাদের মধ্যে বিবাদ বাড়ছিল এবং আমন রজনীর ছোট ভিডিও তৈরি নিয়ে সন্দেহ করত। হত্যার আগে সে বাড়িওয়ালা এবং পুলিশকে খবর দিয়েছিল।

হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা

তথ্য অনুযায়ী, আমন তার স্ত্রী রজনীকে গলা টিপে হত্যা করে। এরপর সে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে, কিন্তু সময়মতো দড়ি ছিঁড়ে যায়। এরপর সে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

ঘটনার পর আমন বাড়ির বাইরে বেরিয়ে চিৎকার করে এবং বাড়িওয়ালাকে জানায় যে সে রজনীকে হত্যা করেছে। বাড়িওয়ালা অবিলম্বে পুলিশকে খবর দেয়, যার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

দম্পতি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন

বাড়িওয়ালার মতে, রজনী ও আমন গত চার মাস ধরে নাফ לגढ़ (Najafgarh) থানা এলাকার ওল্ড রোশনপুরা (Old Roshanpura) এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। রজনীর প্রথম বিয়ে আমনের বড় ভাইয়ের সাথে হয়েছিল। বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর পরিবার রজনী ও আমনের বিয়ে দেয়।

প্রথমদিকে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু পরে তাদের মধ্যে বিবাদ বাড়তে থাকে। আমনের রজনীর উপর সন্দেহ হতে শুরু করে। বিশেষ করে রজনীর ছোট ভিডিও তৈরি নিয়ে তাদের মধ্যে টানাপোড়েন চলত।

মোবাইল ফোন নিয়ে বিবাদ

বাড়িওয়ালা জানান, কিছুদিন আগে তাদের মধ্যে মোবাইল ফোন নিয়ে বিবাদ হয়। রাগের মাথায় আমন রজনী ও নিজের মোবাইল ফোন ভেঙে দেয়। পরে সে নতুন ফোন কেনে, কিন্তু রজনীও নতুন ফোন কেনার দাবি করে।

সোমবারও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। যদিও প্রতিবেশীরা হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করে, কিন্তু মঙ্গলবার সকালে আমন প্রতিবেশীদের মধ্যে চিৎকার করে হত্যার খবর দেয়।

পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মামলার তদন্ত শুরু করেছে। মৃত স্বামী আমনের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ এটাও দেখছে যে এতে অন্য কারো হাত ছিল কিনা।

বাড়িওয়ালা এবং প্রতিবেশীদের বয়ান নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

Leave a comment