বিকেল সাড়ে ৪টা। হঠাৎই সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের বিজেপি রাজ্য দফতরে পা রাখলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁকে দেখেই চাঙা দলের কর্মীরা। চারদিক থেকে স্লোগানের ঝড়—‘হাউ ইজ দ্য জোশ? দিলীপ ঘোষ!’ দলীয় কার্যালয়ে ঢুকেই বর্তমান রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে দিলেন অভিনব সংবর্ধনা। গলায় উত্তরীয়, হাতে পদ্মফুল বাঁধানো ফ্রেম—চিত্র যেন স্পষ্ট, পুরনো-নতুন মুখোমুখি হলেও সৌজন্যের ঘাটতি নেই।
জল্পনার ঝড়ে দিলীপ ঘোষের ঢেউ, ‘আমি ২৬-এ সাফ করে দেব!’
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ একের পর এক ছুড়লেন রাজনৈতিক বাউন্সার। বললেন, ১৯-এ হাফ করেছিলাম, ২১-এ বেঁচে গিয়েছে... ২৬-এ সাফ। কর্মীদের উল্লাসে ফেটে পড়ল দপ্তর চত্বর। বারবার ফিরে এল সেই স্লোগান—হাউ ইজ দ্য জোশ? যেন বুঝিয়ে দিলেন, এখনও হার মানেননি দিলীপ।
সেলেবেল নন শুনেই পাল্টা জবাব, নিজেরদাম নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ!
২১ জুলাইয়ে তিনি কিছু করবেন কিনা, এই নিয়ে যখন তীব্র চর্চা, তখন তাঁকে ঘিরে আরও জল্পনা উস্কে দিলেন স্বয়ং দিলীপ ঘোষ। সরাসরি বললেন, মার্কেটে যার দাম থাকে, তাকেই কিনতে চায় সবাই। যার দাম নেই, সে তো রাস্তায় পড়ে থাকে।‘সেলেবেল নন’ মন্তব্যে কারোর নাম না নিয়েই যেন মোক্ষম পালটা দিলেন দিলীপ।
ঘরোয়া বৈঠকে শান্ত বার্তা, শমীকের উপর আস্থা রাখলেন দিলীপ ঘোষ
দলীয় অন্দরে যতই ‘মান-অভিমান’ থাকুক না কেন, দিলীপ ঘোষের কথায় স্পষ্ট, তিনি শমীকের নেতৃত্বে আস্থা রাখেন। জানান, বিজেপি এগোচ্ছে, এবং আগামী দিনে শমীকের হাত ধরেই আরও দূর যাবে। দলের কর্মীদের কাছে একরাশ বার্তা—তাঁর অভিমান থাকলেও দলের স্বার্থে তিনি প্রস্তুত।