২০২৫ দীপাবলির অমাবস্যা: অঘোরীদের মহাকালী পূজা ও শ্মশানে তান্ত্রিক সাধনা

২০২৫ দীপাবলির অমাবস্যা: অঘোরীদের মহাকালী পূজা ও শ্মশানে তান্ত্রিক সাধনা
সর্বশেষ আপডেট: 16 ঘণ্টা আগে

২০২৫ সালের দীপাবলির অমাবস্যায় অঘোরীরা শ্মশানে মহাকালীর পূজা ও তান্ত্রিক সাধনা করেন। এই রাতকে তন্ত্র সাধনার জন্য বিশেষ বলে মনে করা হয় কারণ চাঁদের আলো অনুপস্থিত থাকে এবং নেতিবাচক শক্তি বেশি সক্রিয় থাকে। সাধারণ ভক্তদের জন্য এটি সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

২০২৫ সালের দীপাবলির অমাবস্যা বিশেষ: ২০২৫ সালের দীপাবলির অমাবস্যা ২০শে অক্টোবর পড়ছে এবং এই দিনে অঘোরীরা শ্মশানে মহাকালীর পূজা করেন। কাশী ও উজ্জয়িনের মতো প্রধান শ্মশান ঘাটগুলিতে তান্ত্রিক মন্ত্রোচ্চারণ এবং বিশেষ সাধনার মাধ্যমে অঘোরীরা দেবীর শক্তি লাভ করেন। এই রাতকে তন্ত্র সাধনার জন্য বিশেষ বলে মনে করা হয় কারণ চাঁদের অনুপস্থিতি এবং নেতিবাচক শক্তি বেশি সক্রিয় থাকে। সাধারণ গৃহস্থদের এই ধরনের অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকা উচিত এবং ঐতিহ্যবাহী পূজা পদ্ধতির অনুসরণ করা উচিত।

দীপাবলির অমাবস্যার বিশেষ গুরুত্ব

দীপাবলির মহাপর্ব প্রতি বছর কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে পালিত হয় এবং এটি পাঁচ দিনের উৎসব, যা ধনতেরাস থেকে শুরু হয়ে ভাইফোঁটায় শেষ হয়। এইবার দীপাবলি ২০শে অক্টোবর ২০২৫ তারিখে। সাধারণত দীপাবলিতে মা লক্ষ্মী এবং ভগবান গণেশের পূজা করা হয়, কিন্তু অমাবস্যার রাত তন্ত্র সাধনার জন্য বিশেষ বলে বিবেচিত হয়। চাঁদের অনুপস্থিতি এবং নেতিবাচক শক্তির সক্রিয়তার কারণে অঘোরীরা এই রাতে শ্মশানে বিশেষ অনুষ্ঠান করেন।

অঘোরী ও মহাকালী পূজা

অঘোরীরা দীপাবলির রাতে শ্মশান ঘাটে মহাকালীর পূজা করেন। মন্ত্রোচ্চারণ এবং তান্ত্রিক ক্রিয়ার মাধ্যমে এই সাধনা করা হয়। এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য হল তান্ত্রিক সিদ্ধি লাভ করা এবং দেবীর শক্তি থেকে শক্তি গ্রহণ করা। কাশীর মণিকর্ণিকা ঘাটে দীপাবলির রাতে বিশেষ দৃশ্য দেখা যায়, যেখানে বড় বড় অঘোরী ও তান্ত্রিকরা শব সাধনা করেন। উজ্জয়িনেও একই ধরনের সাধনা হয়, যেখানে মহাকালের উপস্থিতি ঔঘড় দানী রূপে দেখা যায়।

শ্মশানে তান্ত্রিক ক্রিয়া ও আরতি

কাশীর মহা শ্মশানে বাবা ঔঘড় দানী'র আরতি হয়, যেখানে নরমুণ্ডপূর্ণ খাপ্পর ব্যবহার করে ৪০ মিনিট ধরে তান্ত্রিক ক্রিয়া করা হয়। জ্বলন্ত চিতাদের মাঝে পায়ে দাঁড়িয়ে শব সাধনা করা অঘোরী সাধনার একটি প্রধান অংশ। এই অনুষ্ঠানগুলির সময় অঘোরীরা দেবী মহাকালীর শক্তি লাভ করেন এবং তাঁদের তান্ত্রিক সাধনায় সিদ্ধি অর্জনের চেষ্টা করেন।

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ

বেদ, পুরাণ এবং শাস্ত্রগুলিতে এই ধরনের তন্ত্র সাধনাকে সঠিক বলে মনে করা হয়নি। রামচরিত মানসেও একে ধর্মবিরোধী বলা হয়েছে। গৃহস্থ জীবনে বসবাসকারী ব্যক্তির এমন সাধনা থেকে দূরে থাকা উচিত। সাধনার উদ্দেশ্য আধ্যাত্মিক বিকাশ হওয়া উচিত, কিন্তু অঘোরী সাধনা বিশেষ পরিস্থিতি এবং কঠোর নিয়মের অধীনে হয়।

২০২৫ সালের দীপাবলির অমাবস্যা অঘোরী সাধনা এবং মহাকালী পূজার জন্য বিশেষ। শ্মশান ঘাটে করা অনুষ্ঠান, মন্ত্রোচ্চারণ এবং আরতি অঘোরী সাধকদের জন্য আধ্যাত্মিক ও তান্ত্রিক গুরুত্ব বহন করে। সাধারণ ভক্তদের জন্য এই তথ্য ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। ঘর ও সমাজে ধর্ম এবং ঐতিহ্যবাহী পূজা পদ্ধতির অনুসরণ করা নিরাপদ ও উপযুক্ত বলে মনে করা হয়।

Leave a comment