Probiotic Rich Foods: সাধারণত দইকে সবচেয়ে ভালো প্রোবায়োটিক খাবার ধরা হয়। কিন্তু অনেকের শরীরেই দই সহ্য হয় না। এই ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে ভারতীয় ঘরোয়া ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে রয়েছে অachar, ইডলি-দোসা, ধোকলা, বাংলার পান্তাভাত, ওড়িশার পোখলা ভাত এবং মহারাষ্ট্রের কান্জি। সবক’টিই প্রাকৃতিক ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ায় তৈরি হওয়ায় শরীরের গাট হেলথ ভালো রাখতে, হজম শক্তি বাড়াতে এবং সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
কেন প্রোবায়োটিক জরুরি
প্রোবায়োটিককে বলা হয় ‘গুড ব্যাকটেরিয়া’। এটি হজমশক্তি বাড়ায়, অন্ত্রে জীবাণুর ভারসাম্য বজায় রাখে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। দই প্রধান উৎস হলেও, যারা এটি খেতে পারেন না তারা অন্যান্য ফার্মেন্টেড খাবার থেকেও সমান উপকার পেতে পারেন।
আচার: প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিকের ভাণ্ডার
সবজির তৈরি আচার শুধু স্বাদের জন্য নয়, প্রোবায়োটিকেরও অন্যতম উৎস। ফার্মেন্টেশনের মাধ্যমে তৈরি হওয়ায় এটি অন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী। পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় কোরিয়ান আচার "কিমচি"-তেও প্রচুর প্রোবায়োটিক রয়েছে।
ইডলি-দোসা ও ধোকলা
দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় জলখাবার ইডলি ও দোসা চাল ও ডাল ফার্মেন্ট করে তৈরি হয়। এর ফলে প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক গঠিত হয়। একইভাবে ধোকলাতেও প্রচুর প্রোবায়োটিক থাকে, যা শরীর ঠান্ডা রাখতে ও হজমে সহায়তা করে।
পান্তাভাত ও পোখলা ভাত
বাংলার ঐতিহ্যবাহী পান্তাভাত কিংবা ওড়িশার পোখলা ভাত সারারাত ভিজিয়ে রাখলে প্রাকৃতিকভাবে ফার্মেন্ট হয়। এতে প্রচুর প্রোবায়োটিক তৈরি হয়। গরমকালে এগুলো শরীর ঠান্ডা রাখতে ও গাট হেলথ উন্নত করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
মহারাষ্ট্রের কান্জি পানীয়
কান্জি হলো এক ধরনের ফার্মেন্টেড ড্রিঙ্ক, যা মহারাষ্ট্রসহ উত্তর ভারতের বহু জায়গায় খাওয়া হয়। এটি বিট, গাজর বা চাল দিয়ে তৈরি হয়। পেটের গ্যাস, বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে এটি বিশেষভাবে উপযোগী।
অনেকেরই দুধ বা ল্যাক্টোজ অসহিষ্ণুতার কারণে দই খাওয়া যায় না। কিন্তু শরীরে প্রোবায়োটিকের অভাব হলে পেটের সমস্যা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। চিন্তার কারণ নেই—কারণ দইয়ের বাইরে আরও বহু খাবার রয়েছে, যেগুলো প্রোবায়োটিকে ভরপুর এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।