ক্রিকেট ইতিহাসে এমন কিছু ম্যাচ থাকে, যা কেবল খেলার পরিসংখ্যানের জন্য নয়, বরং এর রোমাঞ্চ এবং অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকে। এমনই একটি স্মরণীয় টেস্ট ম্যাচ আজ থেকে ঠিক ২৫ বছর আগে, ১৭ ও ১৮ আগস্ট, ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে খেলা হয়েছিল।
স্পোর্টস নিউজ: ক্রিকেট ইতিহাসে এমন কিছু ম্যাচ রয়েছে, যা তাদের রোমাঞ্চ বা নাটকীয় মোড়গুলির জন্য সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকে। তবে কিছু টেস্ট ম্যাচ এমনও হয়, যা তাদের খেলার সময়কাল এবং অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে ক্রিকেটপ্রেমীদের স্মৃতিতে গেঁথে যায়। এমনই একটি টেস্ট ম্যাচ আজ থেকে ঠিক ২৫ বছর আগে, ১৭-১৮ আগস্ট ২০০০ সালে ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের (England vs West Indies) মধ্যে লিডসের হেডিংলি মাঠে খেলা হয়েছিল। এই ম্যাচটি মাত্র দুই দিনেই শেষ হয়ে যায় এবং ইংল্যান্ড ইনিংস ও ৩৯ রানে জিতে ইতিহাস তৈরি করে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস - ১৭২ রানে অলআউট
পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জিমি অ্যাডামস টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত তাদের দলের জন্য ভারী হয়ে দাঁড়ায়। ইংল্যান্ডের পেস বোলার ড্যারেন গফ, ক্রেইগ হোয়াইট এবং ডমিনিক কর্ক ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের থিতু হওয়ার কোনও সুযোগ দেননি। ৬০ রান করতে না করতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের পাঁচটি উইকেট হারিয়ে ফেলে।
তবে, তরুণ ব্যাটসম্যান রামনারেশ সারওয়ান এবং উইকেটকিপার রিডলি জ্যাকবস ৬৮ রানের জুটি গড়ে ইনিংস সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কর্ক জ্যাকবসকে আউট করে এই জুটি ভেঙে দেন। ফলস্বরূপ, পুরো দল ৪৮.৪ ওভারে মাত্র ১৭২ রানে গুটিয়ে যায়। ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রেইগ হোয়াইট দুর্দান্ত বোলিং করে পাঁচ উইকেট নেন। গফ তিনটি এবং কর্ক দুটি সাফল্য পান।
ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস - সংগ্রামের পর লিড
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারাত্মক বোলিং জুটি কার্টনি ওয়ালশ এবং কার্টলি অ্যামব্রোস ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদেরও সমস্যায় ফেলেছিলেন। ইংল্যান্ড ১০৫ রান तक নিজেদের পাঁচটি উইকেট হারিয়েছিল। অধিনায়ক নাসির হুসেন মাত্র ২২ রান করেন। তবে, মিডল অর্ডারে মাইকেল ভন দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ৭টি চারের সাহায্যে ৭৬ রান করেন। তার সাথে অ্যালেক স্টুয়ার্ট এবং মার্ক রামপ্রকাশও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
ইংল্যান্ডের পুরো দল ৮১.৫ ওভারে ২৭২ রান করে অলআউট হয়ে যায় এবং প্রথম ইনিংসে ১০০ রানের একটি শক্তিশালী লিড পায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে অ্যামব্রোস ও ওয়ালশ দারুণ বোলিং করেন এবং দুজনেই চারটি করে উইকেট নেন।
দ্বিতীয় ইনিংস - ওয়েস্ট ইন্ডিজের শোচনীয় পরাজয়
যখন দ্বিতীয় ইনিংসের পালা আসে, তখন আশা করা হয়েছিল যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা আগের ভুলটি পুনরাবৃত্তি করবে না। কিন্তু ইংল্যান্ডের বোলাররা আবারও कहर बरपाया। মাত্র ২৬.২ ওভারে পুরো ক্যারিবিয়ান দল মাত্র ৬১ রানে গুটিয়ে যায়। বিশেষ বিষয় হল ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাঁচজন ব্যাটসম্যান खाताও খুলতে পারেননি। ইংল্যান্ডের হয়ে অ্যান্ডি ক্যাডিক ৫ উইকেট নেন, যেখানে ড্যারেন গফ ৪ উইকেট পান। ডমিনিক কর্ক একটি সাফল্য পান।
এভাবে ইংল্যান্ড এই ম্যাচটি ইনিংস ও ৩৯ রানে জিতে সিরিজে ২-১-এ অপরাজিত লিড নেয়। পরে ইংল্যান্ড পঞ্চম টেস্টও জেতে এবং সিরিজটি ৩-১ ব্যবধানে নিজেদের নামে করে।
কেন এই টেস্ট ম্যাচটি বিশেষ?
- দুই দিনে শেষ হওয়া ম্যাচ - টেস্ট ক্রিকেট সাধারণত পাঁচ দিন ধরে চলে, কিন্তু এই ম্যাচটি মাত্র দুই দিনে শেষ হয়ে যায়।
- ৪০টি উইকেট পড়েছে - দুই দিনে মোট ৪০টি উইকেট পড়া अपने आप में दुर्लभ ঘটনা।
- পেস বোলারদের দাপট - दोनों टीमों के बल्लेबाजों के लिए पिच बेहद चुनौतीपूर्ण साबित हुई। গফ, ক্যাডিক এবং হোয়াইটের মতো ইংলিশ বোলাররা ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের পুরোপুরি ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিলেন। একই সময়ে, ওয়ালশ और एम्ब्रोस ने इंग्लैंड की पहली पारी में जोरदार चुनौती दी।
- ওয়েস্ট ইন্ডিজের পতন - कभी टेस्ट क्रिकेट पर राज करने वाली विंडीज टीम की यह करारी हार बताती है कि 2000 के दशक तक आते-आते उनका दबदबा कितना कमजोर पड़ चुका था।
ইংল্যান্ড চতুর্থ টেস্টে ইনিংস এবং ৩৯ রানে জয়লাভ করে কেবল সিরিজটি দখল করেনি, বরং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের আত্মবিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করে। এই ম্যাচটি আজও उन चुनिंदा टेस्ट मुकाबलों में गिना जाता है, जो कम समय में खत्म होकर ইতিহাস का हिस्सा बन गए।