ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগকারী অধ্যাপক রবিকান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগকারী অধ্যাপক রবিকান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর বিরুদ্ধে মহিলা পাচারের অভিযোগকারী অধ্যাপক रवিকান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় গুরুতর মন্তব্য করেছিলেন, যা নিয়ে বিতর্ক বেড়েছে।

Professor FIR Case: লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক रवিকান্ত বাঘেশ্বর ধামের পীঠাধীশ ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করার পর এবার তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। পুলিশ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS)-এর ধারা ৩৫৩(২) এর অধীনে মামলা দায়ের করেছে। এই পুরো ঘটনা ধর্মীয় এবং সামাজিক মহলে গভীর বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

পুরো ঘটনাটি কী

এই বিতর্কের সূত্রপাত ২৮ জুলাই রাতে, যখন মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুর জেলার লভকুশ নগরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ১৩ জন মহিলাকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়ে। এই মহিলাদের মহোবা রেল স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানা যায় যে এই মহিলারা বিগত ছয় মাস ধরে বাঘেশ্বর ধামে বসবাস করছিলেন।

ধাম প্রশাসনের মতে, তাঁদের বিরুদ্ধে চেন ছিনতাই এবং চুরির মতো অভিযোগ ছিল, যার কারণে তাঁদের ধাম থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁদের তাঁদের বাড়িতে পাঠানো হচ্ছিল এবং সেই কারণে তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে রেল স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে বিতর্ক বৃদ্ধি

ঘটনার ভিডিও সামনে আসার পর অধ্যাপক रविकांत সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ একটি পোস্ট শেয়ার করেন। এই পোস্টে তিনি বাঘেশ্বর ধামের ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর বিরুদ্ধে মহিলা পাচারের অভিযোগ করেন। একইসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে "নন বায়োলজিক্যাল প্রধানমন্ত্রী" আখ্যা দিয়ে ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীকে তাঁর "ছোট ভাই" বলেন। তিনি দাবি করেন যে ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর বিরুদ্ধে গভীর তদন্ত হওয়া উচিত এবং দোষী প্রমাণিত হলে তাঁকে যেন ফাঁসি দেওয়া হয়।

FIR দায়ের হওয়ার পর আইনি পদক্ষেপ ত্বরান্বিত

অধ্যাপক रविकांतের পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর বাঘেশ্বর ধাম জন সমিতির পক্ষ থেকে ধীরেন্দ্র গৌর বমীঠা থানা, ছত্তরপুরে অভিযোগ দায়ের করেন। এর ভিত্তিতে পুলিশ BNS-এর ধারা ৩৫৩(২)-এর অধীনে মামলা দায়ের করেছে।

এই ধারার অধীনে কোনও ব্যক্তি যদি এমন মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ায় যার ফলে জনभावना আহত হয় বা সামাজিক অশান্তি ছড়ায়, তবে তা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। এতে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড এবং গ্রেফতারির বিধান রয়েছে।

ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর প্রতিক্রিয়া

মামলার প্রেক্ষিতে পণ্ডিত ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী বলেছেন যে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা হিন্দু সমাজকে একত্রিত করার চেষ্টা করছি এবং সেই কারণেই আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে যত অভিযোগই আসুক না কেন, আমরা যতদিন বেঁচে আছি, ততদিন হিন্দুত্ব ও হিন্দুস্থানের সেবা করে যাব। আমরা সনাতন ঐতিহ্যের জন্য শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়ব।"

তিনি আরও বলেন যে ৭ থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর পদযাত্রা হওয়ার কথা, তা নিয়ে কিছু লোক চিন্তিত এবং সেই কারণেই তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে।

লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান

অধ্যাপক रविकांत লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দি বিভাগে কর্মরত। এই পুরো ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি, তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে এবং শীঘ্রই অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করা হতে পারে।

এর আগেও অধ্যাপক रविकांत বিতর্কে জড়িয়েছেন

এই প্রথমবার নয় যে অধ্যাপক रविकांत তাঁর বক্তব্যের কারণে বিতর্কে জড়িয়েছেন। এর আগেও তিনি বহুবার সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্ট এবং জনসমক্ষে দেওয়া বক্তব্যের জন্য আলোচনায় এসেছেন। তবে, এইবার বিষয়টি সরাসরি ধর্মীয় অনুভূতি এবং সম্মানিত ধর্মীয় ব্যক্তির সঙ্গে জড়িত, যা বিষয়টিকে সংবেদনশীল করে তুলেছে।

Leave a comment