বনমঙ্খীর প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক দেবনারায়ণ রজক তাঁর সমর্থকদের নিয়ে আরজেডিতে যোগ দিলেন। নির্বাচনের আগে বনমঙ্খীর রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন।
Bihar Election: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বনমঙ্খীতে রাজনৈতিক তৎপরতা বেড়ে গেছে। বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক দেবনারায়ণ রজক তাঁর অনুগামীদের নিয়ে রাষ্ট্রীয় জনতা দলে (আরজেডি) যোগদান করেছেন। দলের পক্ষ থেকে অবহেলিত হওয়ার কারণে ক্ষুব্ধ রজক আসন্ন নির্বাচনে আরজেডির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন। এই পদক্ষেপের ফলে বনমঙ্খী বিধানসভায় নির্বাচনী লড়াই আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের আরজেডিতে যোগদান
বিহার নির্বাচনের আগে বনমঙ্খী বিধানসভায় রাজনৈতিক মোড় দেখা গেল। এখানকার প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক দেবনারায়ণ রজক তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-তে যোগদান করেছেন। রজককে দলের রাজ্য কার্যালয়ে বিহার ইউনিটের প্রধান মহাসচিব রণবিজয় সাহু আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্যপদ প্রদান করেন। এই অনুষ্ঠানে দলের রাজ্য মুখপাত্র এজাজ আহমেদ তাঁকে সদস্য রসিদের পাশাপাশি লালন্ঠন প্রতীক এবং লালু প্রসাদ যাদবের জীবনী "গোপালগঞ্জ টু রাইসিনা" দিয়ে সম্মানিত করেন।
তেজস্বী যাদবের সঙ্গে সাক্ষাৎ
আরজেডিতে যোগদানের পর দেবনারায়ণ রজক তাঁর সমর্থকদের নিয়ে দলের বিরোধী দলনেতা এবং প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই সাক্ষাতে উভয় পক্ষ আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কৌশল আলোচনা করেন। রজকের এই পদক্ষেপ ইঙ্গিত দেয় যে তিনি এখন আরজেডির জন্য একজন সক্রিয় এবং শক্তিশালী মুখ হিসেবে কাজ করবেন।
বিজেপির প্রতি অসন্তোষ
দেবেন্দ্র নারায়ণ রজক ২০০০ সালে বিজেপির টিকিটে বনমঙ্খী বিধানসভা থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে, ২০০৫ সালে তাঁর টিকিট বাতিল করা হয় এবং তারপর থেকে দল তাঁকে উপেক্ষা করে। টিকিট বণ্টনে যথাযথ সম্মান না পাওয়া এবং দলের অবহেলার কারণে রজক ক্ষুব্ধ ছিলেন। এই অসন্তোষই তাঁকে আরজেডির দিকে নিয়ে গেছে।
বনমঙ্খী বিধানসভায় নির্বাচনী তৎপরতা
প্রাক্তন বিধায়ক রজকের আরজেডিতে যোগদানের ফলে বনমঙ্খী বিধানসভায় নির্বাচনী তৎপরতা বেড়ে গেছে। এখন এখানে বিজেপি এবং আরজেডির মধ্যে লড়াই আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। স্থানীয় জনতা এবং সমর্থকেরা এই পরিবর্তনে উৎসাহিত। রজকের অভিজ্ঞতা এবং সমর্থকের সংখ্যা দেখে আরজেডিকে এই আসনে শক্তিশালী দাবিদার মনে করা হচ্ছে।